দেরিতে ঘুম ভাঙল ক্রীড়ামহলের? পথে নেমেই প্রশ্ন বিস্ফোরক জ্যোতির্ময়ী শিকদারের
বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাতে যোগ দিয়েছিলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসুও। বাংলার প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রীড়াবিদরা অবশেষে পথে নামলেন। যদিও ছন্নছাড়া মিছিল। তিলোত্তমা-র বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন লাখো মানুষ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা ফুটবল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান যাবতীয় তিক্ততা সরিয়ে আরজি কর কাণ্ডে একযোগে আন্দোলনে নেমেছিল। গত রবিবার দুই প্রধানের সঙ্গে যোগ দেয় তৃতীয় প্রধান মহমেডান স্পোর্টিংও। বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাতে যোগ দিয়েছিলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসুও। বাংলার প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রীড়াবিদরা অবশেষে পথে নামলেন। যদিও ছন্নছাড়া মিছিল। আন্দোলেনে নামা প্রাক্তন অলিম্পিয়ান জ্যোতির্ময়ী শিকদারও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে বাংলার ক্রীড়ামহল। প্রাক্তনদের পাশাপাশি বর্তমান ক্রীড়াবিদরাও ছিলেন। ফুটবলার, অলিম্পিয়ান, দাবাড়ু দীব্যেন্দু বড়ুয়া, প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে গৌতম সরকারের মতো প্রত্যেকেই এই ঘটনার বিচার চাইছেন। দোষীদের এমন শাস্তি চাইছেন, যাতে তিলোত্তমার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। তবে এই প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই তথা ক্রীড়া প্রশাসক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বাবুন) জানান, তাঁকে এই মিছিলের কথা আগে থেকে জানানোই হয়নি।
এত দেরিতে ঘুম ভাঙল ক্রীড়ামহলের? ময়দানের প্রতিবাদ মিছিলের সামনের সারিতে শুধুই অনামী মুখের ভিড়! ময়দানের দেরিতে ঘুম ভাঙায় লজ্জার কথা মেনে নিলেন জ্যোতির্ময়ী শিকদার। চাচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীকে। ময়দানের এই মিছিলে কো অর্ডিনেশনের অভাবের কথা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের মুখেও।