‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ ফুটবল মাঠেও, ইসরাফিলের হ্যাটট্রিকে জয়ের পর মহমেডান ফুটবলারদের প্রতিবাদ
মহমেডান স্পোর্টিং- ৪ (ইসরাফিল -হ্যাটট্রিক, মাহিতোষ)
এরিয়ান- ১ (পঙ্কজ)
গোল করেই ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ লেখা জার্সি তুলে ধরেন মহিতোষ, ইসরাফিলরা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ সর্বত্র। রবিবার রাস্তায় নামে কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকরা। এবার খোদ ফুটবল মাঠেই প্রতিবাদে সামিল ফুটবলাররা। মহমেডান-এরিয়ান ম্যাচকেই প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য কুর্নিশ জানাতেই হবে সাদা কালোর ফুটবলারদের। প্রতিবাদের মঞ্চেই জয়ে ফিরল মহমেডান। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও বড় জয়। সোমবার ৪-১ গোলে এরিয়ানকে হারাল মহমেডান স্পোর্টিং। এদিন হারলেই সুপার সিক্সের রাস্তা কঠিন হয়ে যেত। পরপর দুটো ড্রয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল সাদা কালো ব্রিগেড। কিন্তু দাপুটে জয়ে আবার ফিরল মূলপর্বের লড়াইয়ে।
নৈহাটিতে শুরুতে এগিয়ে যায় এরিয়ান। ২২ মিনিটে গোল করেন পঙ্কজ রায়। প্রথমার্ধের শেষে ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল মহমেডান। বিরতির আগে সমতা ফেরাতে পারেনি সাদা কালো ব্রিগেড। যদিও শুরুটা ভালই করেছিল। প্রথম ১৫ মিনিট দাপট ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধের মাঝামাঝি ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় মহমেডান। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ৫১ মিনিটে। দুর্দান্ত গোল মাহিতোষ রায়ের। বিরতির পর পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে তাঁকে মাঠে নামাতেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। মাঝমাঠের দখল নেন। মাহিতোষের গোলে ম্যাচে ফেরে কলকাতার প্রধান। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভাল ফুটবল খেলে মহমেডান। দাঁড়াতেই পারেনি এরিয়ান।
হ্যাটট্রিক করেন ইসরাফিল দেওয়ান। ম্যাচের ৬০ মিনিটে তাঁর প্রথম গোল। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল সাদা কালো ব্রিগেড। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় আবার জোড়া গোল ইসরাফিলের। ৯০+২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন। ৯০+৭ মিনিটে এরিয়ানের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ইসরাফিল। সাদা কালোর জার্সিতে প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই গোল পাচ্ছেন। হার দিয়ে শুরু হল প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের নতুন অভিযান। রবিবারই এরিয়ান ক্লাবের সভাপতি নিযুক্ত হন সৌরভ গাঙ্গুলি।