ভারতীয় ফুটবলকে আঘাত রাজ্যের! তিন প্রধানের সমর্থকদের ‘বিচার চাই’ দাবিতে ধুন্ধুমার, পুলিশের লাঠিচার্জ যুবভারতী চত্বরে

যুবভারতীতে ডার্বি ম্যাচ আয়োজন করতে অক্ষম রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ। অথচ সমর্থকদের উপর চড়াও ও লাঠিচার্জ করার জন্য হাজির অগনিত পুলিশ। আবার বড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য প্রশাসন। ক্রীড়াক্ষেত্রেও প্রতিবাদকে দমিয়ে রাখার অদম্য চেষ্টা রাজ্যের। হঠাৎ করে যুবভারতী চত্বরে ১৬৩ ধারা জারি। বিধান নগর পুলিশ কমিশনারের তরফে নির্দেশিকা। আরজি কর প্রতিবাদে বাতিল হয়েছে ডার্বি । দুদলের সমর্থকদের যুবভারতের সামনে জমায়েত কর্মসূচি ছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি ফোনের অভিযোগ, অশান্তি আটকাতে ১৬৩ ধারা জারি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের।

রবিবার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে। বিধাননগর পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকবে। কারণ হিসাবে পুলিশ জানিয়েছে, ফুটবলপ্রেমীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে বিশৃঙ্খলা এবং অশান্তির তৈরি করতে পারে বলে গোপনসূত্রে খবর পেয়েছে পুলিশ। সময় এগোতে থাকে তত যুবভারতী এলাকায় জমায়েত বাড়তে থাকে।

সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে পুলিশ। দুই দলের সমর্থকরা বলেন যদি এত পুলিশ এখানে ছিল তবে কেন ডার্বি বাতিল করা হল। এরপর পুলিশ সমস্ত সমর্থকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তাদেরকে দ্রুত সেখান থেকে সরাতে তৎপর হয় পুলিশ। আবার প্রশাসনের ব্যর্থতা নজরে।

মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে অনেকে আহত হয়েছেন। এমনকি, মহিলা সমর্থকদের উপরেও পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’দলের অনেক সমর্থককে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। প্রতিবাদী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।

ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ঊষসী চক্রবর্তী ও মোহনবাগান সমর্থক সৌরভ পালোধি একসঙ্গে প্রতিবাদ করছেন। সৌরভ বলেন, “ভারতীয় ফুটবলকে আঘাত করলে প্রতিবাদ তো হবেই।”যুবভারতী চত্বরে জারি ন্যায় সংহিতার ১৬২ ধারায় রাকেশ পাল, শুভম চক্রবর্তী, অনীশ দত্ত, রজত নন্দী-সহ মোট ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।