‘শাঁখ বাজাচ্ছে, না চুষে জল খাচ্ছে’! শঙ্খ বাজিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ঋতুপর্ণা
একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যেখানে তাঁকে শাঁখ বাজাতে দেখা যায়। এভাবেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল ঋতু। সেই ভিডিয়ো নিয়ে এখন চারদিকে মিমের বন্যা। কেউ কেউ দেখে বলেছেন, ‘চুষে শাঁখ থেকে জল খাচ্ছেন’ ! আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা। প্রতিবাদ জানিয়েছে টলি পাড়ার অনেকেই। তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করেছেন। ১৪ অগস্ট ‘রাত দখল’ লড়াইয়ে শামিল হয়েছিল গোটা শহর। শুধু কলকাতা নয়, আরও অনেক শহরেই এ দিন রাতে হয়েছিল জমায়েত। এই লড়াইয়ে আম জনতার সঙ্গে শামিল শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও। করিনা কপূর, হৃত্বিক রোশন থেকে টলিপাড়ায় প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো তারকারও। কেউ পথে নেমেছেন। কোনও তারকারা আবার বাড়িতে থেকেই এই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। আর সমস্যা হয়েছে এখানেই।
প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ঋতুপর্ণা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটা ছবি পোষ্ট করেন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল নায়িকার চোখে, মুখে আতঙ্কের ছাপ। চোখ ছলছল। আর শাঁখ বাজাচ্ছেন। ব্যস এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর ঘটল উল্টো ঘটনা। কী ঘটেছে? অনুরাগীদের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন নায়িকা। তাঁর এই শাঁখ বাজানোর ভিডিয়ো মোটেই পছন্দ হয়নি কারও। একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে গিয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতা। নায়িকা ওই ভিডিটি মুছে দিলেও ষ্টীল ছবিটি রয়ে গেছে। আর তার পরেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তার প্রধান কারণ, ওই শঙ্খটি নাকি ‘জলশঙ্খ’ বাজানোর শঙ্খ নয়, আবার তাঁর শাঁখ ধরা দেখে অনেকেই বলছেন, ক্যামেরায় ভুল পোজ দিয়েছেন। ওভাবে
ধরে শঙ্খ বাজানো যায় না। লেখেন, ‘প্রথমত, আপনার শঙ্খ পরে বাজছে আর মিউজিকটা একটু আগে স্টার্ট হয়েছে। দ্বিতীয়ত, দিদিভাই ওটা চোষে না আপনার ক্যালসিয়াম দরকার হলে ট্যাবলেট খান। আর তৃতীয়ত, শঙ্খ বাজালে মুখটা আই মিন গালগুলো ফুলে যায়, চুপসে যায় না। দিদি এটা খুব সেনসিটিভ ইস্যু একজন নারী হিসাবে এটা আপনার ভাবা উচিত। এটা নাটকের রঙ্গমঞ্চ না প্রপ নিয়ে আপনি নাটক করে করবেন। মন থেকে চাইলে করবেন। সবাই বলছে, না বললে লোকে কথা শোনাচ্ছে, তাই একটা অভিনয় করে দেই, এমনটা করবেন না। শুধু আপনি না, অনেকেই করছেন।’ নেটমাধ্যমে চরম ট্রোল হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাংলার দিদি নম্বর ১, মহানায়ক পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রচনা একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তাঁকে কেঁদে ফেলতে দেখা যায়। আর এই কান্নাকেই ‘নাটক’ আখ্যা দিয়েছে একাংশ।
বাংলা বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীরা সাধারণ মানুষদের মতো পাশে থাকছেন আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। সশরীরে উপস্থিত থেকে সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁদের। খবর, শনিবার এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন নাট্যজগতের খ্যাতনামীরা। গিরিশ মঞ্চ থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত হাঁটবেন তাঁরা। কথা বলবেন জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে। রবিবার পথে নামবে গোটা টলিউড।সিনে পরিবারের তরফ থেকে কর্মসূচির একটি বার্তা তৈরি হয়েছে, ‘আর জি কর পরিবারের পাশে চলচ্চিত্র পরিবার। আগামীকাল বিকেল ৪টে নাগাদ টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োয় মিলিত হয়ে, সেখান থেকে সন্ধ্যায় আরজি কর হাসপাতাল।