৫০ এর পরেও শরীর থাকবে অটুট, স্বাস্থ্য চর্চায় নিমপাতা “মহৌষধ’, কোন সবজি বেশি খেলে শরীর খারাপ করতে পারে?
সাধারণত ৪০ থেকেই আমাদের শরীর ভাঙতে থাকে। ৫০ এসে আমরা সম্পূর্ণ ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। কিছু বিধি মেনে চললে শরীর বহুদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন –
১) প্রাতরাশ- সকালের প্রাতরাশ এড়িয়ে চলেন অনেকে। এটা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রথিতযশা পুষ্টিবিদ পেনি লরিয়র। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রোটিনের দরকার। প্রোটিনের অভাবে বিগড়ে যেতে পারে মেটাবলিজম ও শারীরিক গঠন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট করলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পায়।
২) প্রসেসড ফুড- বয়স বাড়লে প্রসেসড ফুড খাওয়া উচিত নয়। তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। অস্বাস্থ্যকর তো বটেই অত্যাধিক নুনও থাকে ওই ধরনের খাবারে। পুষ্টি সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওজন বাড়ার জন্য দায়ী প্রসেসড ফুড।
৩) ফল ও সবজি- ডায়েটে রাখুন তাজা ফল ও সবজি। তাজা ফল ৫০ বছরের পর ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট থাকায় অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে।
৪) স্বাস্থ্যকর সঙ্গম- স্বাস্থ্যকর সেক্সের ব্যাপারে নজর দেওয়া দরকার। কারণ এই সময়ে সেক্স লাইফ আগের মতো থাকে না। ফলে অতিরিক্ত সাবধান হওয়া দরকার।
৫) উদ্ভিদ প্রোটিন- প্রোটিন পাওয়া যায় এমন শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। বাদাম, ছোলা, নানা ধরনের শস্যদানা খেতে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। মাংস কম খান।
৬) শরীর চর্চা- পঞ্চাশের পরে শুধু খাওয়া-দাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখলেই হয় না। ঘা ঘামানোও জরুরি। নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। সঙ্গে নিয়ম করে হাঁটবেন।
নিম নিশিন্দা যেখানে/রোগ নাই সেখানে।’- হাজার বছর আগেই আমাদের আয়ুর্বেদ শাস্ত্র একথা বলেছে। নিমের গুণাগুণ বলে শেষ করা যায় না। আয়ুর্বেদ তো বটেই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও মনে করেন নিমের অশেষ গুণ। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে অনিয়ন্ত্রিত, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অনেকেই আলসারে আক্রান্ত হয়। মূলত এইচ পাইলোরি নামক জীবাণুর আক্রমণে এই রোগ হয়। এই রোগ সহ অজস্র রোগের প্রতিষেধক এই নিম।
সেই আদিযুগ থেকে রূপচর্চা ও স্বাস্থ্যর জন্য ব্যবহার করে আসা হচ্ছে নিমপাতা। শুধু এর পাতাই নয়, নিমডাল, ফল সবেতেই রয়েছে ঔষধি গুণ। এই জন্যই মায়েরা জোর করে পাতে গুজে দেন নিমপাতা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে আগে বহু বাড়িতে প্রথম পাতে নিমপাতে না খেয়ে অন্য কিছু মুখে তোলা হত না।১) ব্লাড সুগার থেকে ক্যানসার সব রুখে দিতে পারে এই বিশেষ পাতা। শুধু তাই নয় আরও একাধিক রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি রয়েছে এই পাতার মধ্যে।
২) মানুষের মুখের ভিতর বাসা বাঁধে বহু জীবাণু। যা পরিস্কার না করলে হতে পারে নানান রোগ। নিমপাতায় উপস্থিত জীবাণুনাশক উপাদান এর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৩) যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। নিমপাতায় উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়। শুধু তাই নয় দেহের মৃত কোষকেও বের করে দিতে সক্ষম এই পাতা।
৪) ব্রণ, খুশকির সমস্য়া সমাধানের মোক্ষম দাওয়াই কিন্তু নিমপাতা। এই পাতা বেটে ব্রণর উপর লাগালে দূর হবে এই সমস্যা। একই ভাবে স্ক্যাল্পে লাগালে উপকার পাবেন খুশকির সমস্যা থেকে।
তাই প্রতিদিন সকালে ৪/৫ টা নিমপাতা চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন।
সবজি চিরকালই শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। সবরকম সবজি খেলে শরীরের অনেক রোগ দূরে থেকে। কিন্তু কয়েকটি সবজি আছে যা শরীরের প্রয়োজন। কিন্তু বেশি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সাম্প্রতিক পুষ্টিতত্ত্বের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সবজি অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু অত্যাধিক পরিমাণের সবজি খেলে তার স্বাস্থ্যের জন্য অপকারীও বটে। কিছু সবজি আছে যেগুলি বেশি না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
পুষ্টি তত্ত্ববিদেরা কয়েকটি সবজি বেশি খেতে নিষেধ করেছেন,তবে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। যেমন –
১) গাজর –
গাজর সবজি হিসেবে অত্যন্ত উপকারী হলেও গাজর বেশি খাওয়া উচিত না। এর থেকে হতে পারে ক্যারোটেনেমিয়া নামক একটি বিশেষ অসুখ। যে অসুখে ত্বকের রং হলদে হয়ে যায়।
২) বিনস জাতীয় সবজি –
প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর এই সবজিতে ফাইটোএমাগুলেটিনন নামে একটি উপাদান থাকে। ফলে এই সবজি বেশি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী তৈরি হয় বমি হওয়ার আশঙ্কাও।
৩) কড়াইশুঁটি –
এতে প্রোটিন, ভিটামিনের পাশাপাশি এটি একটি হাই গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক যুক্ত খাদ্য। যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে, সুগার থাকলে কড়াইশুঁটি বেশি না খাওয়াই ভালো।