লক্ষ্মীরতনের কড়া নজরে ঋদ্ধিমান-অভিমন্যূরা, বাংলা রঞ্জি দলের আবাসিক শিবিরের অনুশীলন
১৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে আবাসিক শিবির। প্রত্যক ক্রিকেটারদের আলাদা করে নজর রেখেছেন বাংলা ক্রিকেট দলের হেডস্যর লক্ষ্মীরতন শুক্লা। প্রথমে কলকাতায় ১৫ জুলাই থেকে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলা। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা, পেস বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পাল, স্পিন বোলিং কোচ অরূপ ভট্টাচার্যর তত্ত্বাবধানে ইডেন গার্ডেন্সের ইন্ডোরে চলেছে প্র্যাক্টিস, ট্রেনিং। তবে বৃষ্টির জন্য আউটডোর ট্রেনিং ব্যাহত। ১৫ আগস্ট থেকেই বীরভূমের সিউড়ি দুবরাজপুরে নবনির্মিত মাঠে দু সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবির শুরু হয়েছে বাংলা দলের।
স্নেহাশিসের কথায়, দুবরাজপুরের ওই মাঠে লাল মাটির কারণে জল নিষ্কাশনী ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। বৃষ্টি হলেও দ্রুত জল নেমে যায়। তাই বর্ষাতেও নেট প্র্যাক্টিস করা সম্ভব। সঙ্গে জিম-সহ সব পরিকাঠামোই রয়েছে। ১৯৮৯-৯০ মরশুমে সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শেষবার রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল বাংলা। তারপর থেকে শুধুই হতাশা। ৩৪ বছর অতিক্রান্ত। একাধিকবার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ। মনোজ তিওয়ারি গত মরশুমে রঞ্জি জিতে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর শপথেও শূন্যতা নিয়েই ক্রিকেট কিট তুলে রাখতে হয়েছে।এবার কি মোক্ষলাভ হবে?
প্রচেষ্টায় খামতি রাখতে চায় না সিএবি। মরশুম শুরুর আগেই অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরে এসেছেন বঙ্গ ক্রিকেট। আসন্ন মরশুমে ফের বাংলার জার্সিতে দেখা যাবে জাতীয় দলের হয়ে ৪০টি টেস্ট ম্যাচ খেলা উইকেটকিপার-ব্যাটারকে। অধিনায়ক হিসাবেও দেখা যেকে পারে। রঞ্জি ট্রফির প্রস্তুতির নকশা সাজিয়ে ফেলেছে বাংলা। যার প্রথম ধাপ হিসাবে শক্তিশালী পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা সেরে ফেলা হয়েছে।
সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মরশুম শুরুর আগে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলা। তিনদিনের বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থাকে দিয়েছিলাম আমরা। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে পাঞ্জাব। কল্যাণীতে হবে ম্যাচগুলি। পূর্ণ শক্তির পাঞ্জাব দলেরই আসার কথা রয়েছে।’
ঋদ্ধিমান সাহা-সুদীপ চট্টোপাধ্যায় সহ বাংলার সমস্ত ক্রিকেটারেরা দুবরাজপুরের শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তারপরই পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ। মহম্মদ সামিও বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির শুরুর দিকের কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেন, জানালেন বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গাঙ্গুলী।