সন্দীপের নির্দেশেই তড়িঘড়ি ঘর ভাঙার কাজ শুরু, রহস্যের গন্ধ?ধর্ষণ-খুনের সেই সেমিনার হলের পাশেই ঘর ভেঙে সংস্কারের কাজ!
কেউ কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে আগুন ধরানোর ফ্রেমের পাশে লিখেছেন, ‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ’। যেমন বাংলাদেশে লেখা হয়েছিল ‘দফা এক, দাবি এক, হাসিনার পদত্যাগ’।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল। সেই হলঘরে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় এক জুনিয়র চিকিৎসককে। ঘটনাস্থলের পাশেই একটি ঘর ভাঙতে উদ্যোগী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? প্রশ্ন উঠল হাসপাতালের অন্দরেই। যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা প্রমাণ থাকা সেমিনার ঘরের পাশে থাকা দুটি ঘর এবং একটি শৌচাগার ভেঙে নতুন একটি শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু হয়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার এই সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের দেহ। প্রথমে আত্মহত্যা বলা হলেও পরে উঠে আসে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ। হাসপাতালের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই সেমিনার হলেরই পাশে একটি ঘর আচমকা ভাঙার কাজ শুরু করে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই কাজ চলছিল পুলিশের উপস্থিতিতে। ঘর ভাঙার কাজ থমকে যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপে। আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের অনেকেরই প্রশ্ন, এই কাজের ফলে তথ্যপ্রমাণ নষ্টের কি কোনও সম্ভাবনা থাকে না? এমন একটি কাজে তদন্তকারীরাই বা কেন বাধা দিলেন না?
‘মেয়েরা রাত দখল করো’। স্বাধীনতা দিবসের আগে অর্থাৎ ১৪ অগস্ট (বুধবার) রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে মেয়েদের রাস্তায় নামার আহ্বান। আন্দোলনের ‘ফর্ম’ নিয়ে ভিন্ন মত। যাদবপুরের জমায়েতের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংগঠনের পতাকা ‘নিষিদ্ধ’। ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র আরজি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি এবং মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতেই স্লোগান সীমাবদ্ধ। পুরুষ এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে চান। বামেরা যেমন মধ্যরাতের মেয়েদের রাস্তা দখলকে সরাসরি ‘রাজনৈতিক’ কর্মসূচি করার পক্ষে। সিপিএমের একটি অংশ সমাজমাধ্যমে লেখা শুরু করেছে, ‘আরজি কর-কাণ্ড যত তৃণমূলের মাথার দিকে ইঙ্গিত করছে, তত আন্দোলনকে অরাজনৈতিক করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’ সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই এবং ডিওয়াইএইআই বুধবার মধ্যরাতে জমায়েতের ডাক দিয়েছে আরজি কর হাসপাতালের সামনেই। জেলায় জেলায় ‘ঝান্ডাহীন’ হয়ে নাগরিক আন্দোলনে দলের কর্মী-সমর্থকেরা শামিল। সিপিএমের কেউ কেউ আবার বাংলাদেশের পড়ুয়া আন্দোলনের স্লোগানকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘হাতিয়ার’ করতে চাইছে। সমাজমাধ্যমে সিপিএমের কেউ কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে আগুন ধরানোর ফ্রেমের পাশে লিখেছেন, ‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ’। যেমন বাংলাদেশে লেখা হয়েছিল ‘দফা এক, দাবি এক, হাসিনার পদত্যাগ’। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শাসকদল তৃণমূলের অনেকে। যা এই আবহে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।