অতীতের হার ভুলে এএফসিতে জিততে চান কুয়াদ্রাত, বুধবার এএফসি, রবিতে ডুরান্ডের ডার্বি, দুই ম্যাচেরই পরিকল্পনা তৈরী

প্রায় দশ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলের আঙিনায়। বুধবার ঘরের মাঠে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে নামবে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তানের আলতেইন আসির। ২০১৪-১৫ সালে শেষবার এএফসি কাপে খেলেছিল লাল হলুদ। গত ১০ বছরে পারফরমেন্স গ্রাফ শুধুই নীচের দিকে। এবার কার্লেস কুয়াদ্রাত জমানায় সুপার কাপ জিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছে ইস্টবেঙ্গল। সামনে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগও রয়েছে। একেতে ঘরের মাঠ। তারওপর প্রতিপক্ষে কোনও বিদেশি নেই। এরকম সুযোগ খুব কমই আসে। কিন্তু নিজেদের ফেভারিট মানছেন না কুয়াদ্রাত। পাঁচ বছর আগে বেঙ্গালুরু এফসির কোচ থাকাকালীন এএফসি কাপে ইয়াজগুলি হোজাগেলডিয়েভের দলের কাছে ০-৩ গোলে হেরেছিলেন। সেই স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি। তাই পরিস্থিতি তাঁদের পক্ষে থাকলেও, নিজেদের এগিয়ে রাখতে চান না। তবে সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তৈরি ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘কঠিন প্রতিপক্ষ। পাঁচ বছর আগে বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন আমরা ০-৩ গোলে হেরেছিলাম। তাই আমাদের বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে হবে। ওদের অনেক প্লেয়ারের এএফসিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেখানে আমাদের দলে অনেক নতুন প্লেয়ার আছে। আমরা কোনওভাবেই ফেভারিট নয়। ন’বছর পরে এএফসিতে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। আমরা পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করব। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলা অবশ্যই কিছুটা অ্যাডভান্টেজ। প্লেয়াররা তৈরি। এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

পাঁচ বছর আগের বেঙ্গালুরু দলটার থেকে কি বর্তমান ইস্টবেঙ্গল দল ভাল? কতটা সুযোগ রয়েছে প্রাথমিক গণ্ডি পার করার? কুয়াদ্রাত বলেন, ‘বেঙ্গালুরুর দলটাও শক্তিশালী ছিল। দুটো দলের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন। তবে আমাদের দলটা ভাল। জুনিয়র দল থেকেও প্লেয়ার উঠে আসছে। এমন কয়েকজন ফুটবলার রয়েছে যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’ নিশু কুমার ছাড়া সবাইকেই পাওয়া যাবে। খেলবেন দিমিত্রি ডিয়ামানটাকোস, ক্লেইটন সিলভা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ জানিয়ে দিলেন, দলের অনেকেই এখনও ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় নেই। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, হয়তো পরে পরিবর্ত হিসেবে দেখা যেতে পারে ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারকে। তবে লাল হলুদ জার্সিতে অভিষেক নিশ্চিত জিকসন সিংয়ের। যাই প্রতিকূলতা থাকুক না কেন, দেশের নাম উজ্জ্বল করতে তৈরি লাল হলুদ বাহিনী। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমরা মাত্র ১৫ দিন হল প্র্যাকটিস করছি। সম্পূর্ণ একটা প্রাক মরশুম প্রস্তুতিও বলা যাবে না। পুরো ফিট দল পেতে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হয়ে যাবে। তবে এই ম্যাচটা ক্লাবের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব। দীর্ঘদিন পর আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি। তাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি।’ এর আগে কুয়াদ্রাতের দলকে হারিয়েছেন। স্প্যানিশ কোচের দল পরিচালনা করার ধরন জানেন। এবারও কি আগেরবারের পুনরাবৃত্তি হবে? বিপক্ষের কোচ হোজাগেলডিয়েভ বলেন, ‘এর আগে আমি ওকে হারিয়েছি। দু’জনেই একে অপরকে চিনি। এটা ম্যাচে সাহায্য করবে।’ কলকাতার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানান আলতেইন আসিরের কোচ। এএফসিতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল দুটো ডুরান্ড কাপের ম্যাচ খেললেও, কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি তুর্কমেনিস্তানের দল। এটা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারে।