ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলার জুনিয়ররা,শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর, ওড়িশাকে হারাল অনূর্ধ্ব-১৬ বিসি রায় ট্রফির ফাইনালে
ছত্তিশগড়ে আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৬ বিসি রায় ট্রফির ফাইনালে ওড়িশাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। ম্যাচের ফলাফল ২-০। অপরাজিত তকমা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। দলের ছ’জন ফুটবলার খড়দার ‘বাংলা ফুটবল অ্যাকাডেমি’ থেকে দলে সুযোগ পায়। এই তালিকায় ছিলেন অর্ণব রায়, সমীর সর্দার, ঠাকুরদাসা হাঁসদা, দেবজিৎ দত্ত, শুভদীপ সর্দার এবং রুদ্রনীল সাহা। ১৮ তম বি সি রায় ট্রফি জয় বাংলার।
এদের মধ্যে রুদ্রনীল ছাড়া বাকি পাঁচজন ফুটবলার প্রতি ম্যাচেই প্রথম একাদশে ছিলেন। নজর কাড়েন শুভদীপ সর্দার। টুর্নামেন্টে মোট চারটি গোল করেন। যার মধ্যে ফাইনালে দ্বিতীয় গোলটিও তাঁর। টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকেই প্রতিযোগিতায় জয় ফাল্গুনী দত্তর ছেলেদের। দীর্ঘদিন পর জাতীয় স্তরে এমন প্রাধান্য নিয়ে খেলে কোনও প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন হল তারা। এদিন ফাইনালে জোড়া গোল করেন শুভদীপ সর্দার। সেমিফাইনালেও তাঁর পা থেকে গোল এসেছিল। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি গোল করলেন এই বাঙালি স্ট্রাইকার। এই জয়ের পর বাংলা দলের কোচ, ফুটবলার, কর্তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের এই বাংলা দলে বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে ছয় জন ফুটবলার ছিলেন। যাঁদের মধ্যে পাঁচজন প্রথম একাদশের।
মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির কোচ, কর্তা ও এই অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত সকল সদস্যদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জাতীয় জুনিয়র ফুটবলে বাংলার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, বাংলার এই সাফল্যে আমি আনন্দিত। গত দু বছর ধরে কলকাতা ফুটবল লিগ বয়স ভিত্তিক করা হয়েছে। এর ফলে অনেক নতুন প্রতিভার সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলার ফুটবল যে সঠিক দিশাতে এগোচ্ছে, আজকের এই সাফল্য তা প্রমাণ করে।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বাংলা দলের ফুটবলার, কোচ এবং বাংলা ফুটবল অ্যাকাডেমির কোচ, কর্মকর্তা ও অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান। বাংলার বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসাবে প্রথমবার দল নিয়ে গিয়েছিলেন ফাল্গুনী। প্রথমবার কোচের দায়িত্ব পেয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ে খুশি এই প্রাক্তন ফুটবলার। বাংলার জয়ের পরই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত ফোনে কোচ ফুটবলারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ছত্রিশগড় থেকে ট্রফি নিয়ে কলকাতায় ফিরছে মঙ্গলবার রাতে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলা দলে বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে ছিলেন অর্ণব রায়, সমীর সর্দার, ঠাকুরদাস হাঁসদা, দেবজিৎ দত্ত, ফাইনালের গোলদাতা শুভদীপ সর্দার ও রুদ্রনীল সাদা। ২০০৩ বাংলা শেষবার জিতেছিল এই প্রতিযোগিতা।