ওয়েনাড়ে উদ্ধারকাজে সফল সেনাদের বিদায় সংবর্ধনা!স্থানীয়দের জয়ধ্বনিতে আপ্লুত ১০ দিন ধরে কর্মরত ভারতীয় সেনারা

ভূমিধসের পর ভারতীয় সেনাদের নিরলস পরিশ্রম দেখে আপ্লুত এলাকাবসীরা। ১০ দিন ধরে হরেক রকম ঝুঁকি নিয়ে ভারতীয় সেনারা চালিয়ে গিয়েছেন উদ্ধারকাজ। ছিল ডগ স্কোয়াডও। বিদায় জানানোর পালা।কৃতজ্ঞতা জানাতে হাজির ছিলেন ওয়েনাড়ের বাসিন্দারা। কারও মুখে সেনাদের উদ্দেশে জয়ধ্বনি। করতালি দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা সেনাদের।
কোচির প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ বিভাগের তরফে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্টে ওয়েনাড় থেকে সেনাদের বিদায় জানানোর দৃশ্য ধরা পড়েছে ২৯ জুলাই, মধ্যরাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ওয়েনাড়ে। ভোরে বৃষ্টির ফলে ভূমিধস আছড়ে পড়েছিল কালপেট্টা, চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, নুলপুঝা-সহ ওয়েনাড়ের বেশ কিছু জায়গায়। ওয়েনাড়ের ভূমিধসকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৩০০ অতিক্রান্ত। ১০ দিন ধরে সেনারা উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন। উদ্ধারকাজের জন্য নামানো হয়েছিল ডগ স্কোয়াডও।
১০ দিন ধরে ওয়েনাড়ে ছিলেন ভারতীয় সেনারা। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর এ বার তাঁদের ফেরার পালা। সেনাদের বিদায় জানাতে রাস্তায় সার বেঁধে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়েনাড়ের বাসিন্দারা। করতালি দিয়ে সংবর্ধনা জানানোর পর ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশে জয়ধ্বনি করছিলেন সকলে। কেউ বলছিলেন, ‘ভারতমাতার জয়’, কারও কণ্ঠে শোনা যাচ্ছিল, ‘ভারতীয় সেনার জয় হোক’। কোচির প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ বিভাগের তরফে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ভারতীয় সেনার উদ্দ্যেশে লেখা হয়েছে, ‘‘ওয়েনাড়ে উদ্ধারকাজের সময় বীরত্ব এবং ত্যাগের পরিচয় দিয়েছেন ভারতীয় সেনারা। যে ধরনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা ১০ দিন ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন, তা ভোলার নয়।’’
ওয়েনাডে ধসের জেরে মারা গিয়েছেন ৪০০ জনের বেশি মানুষ। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সৈন্যরা ওয়েনাড থেকে বিদায় নিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে তাঁদের ডগ স্কোয়াডও রয়েছে। সকলেই উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দিয়েছেন সেখানকার মানুষ। ১২২ ইনফ্রান্টি ব্যাটেলিয়ানের এই সেনারা বিগত ১০ দিন ধরে টানা উদ্ধারকাজ চালিয়ে গিয়েছেন ওয়েনাডে। দিন-রাত এক করে তাঁরা কাজ করেছেন। কোচি ডিফেন্সের পিআরও টুইট করে জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই অভ্যর্থনাকে কখনও ভোলা যাবে না। যে সাহসী হিরোরা ধসের সময় নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন তাদের কথা দেশবাসী সর্বদাই মনে রাখবে।
কর্নেল পরমবীর সিং নাগরা জানিয়েছেন, এই অপারেশনে কোনও ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়নি। কেরালার সমস্ত জেলার পরিস্থিতি এখন কন্ট্রোলে। ফলে সেনাবাহিনীর কাজ শেষ হয়েছে। পরপর ধসের জেরে ৩১ জুলাই থেকে বিপর্যস্ত অবস্থা ছিল মুন্দাক্কাই, চোরামালা, অট্টামালা গ্রামগুলির। বহু মানুষকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এটাই বড় প্রাপ্তি। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবারই ওয়েনাড পরিদর্শন করবেন। কেরালার সরকার ইতিমধ্যেই এই বিপর্যয়কে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করার দাবি করেছে।