শিশুদের জন্য কিছু করতে চান লিয়েন্ডার পেজ, বন্ধন ব্যাংকের সংবর্ধনায় ভাসলেন আন্তর্জাতিক টেনিস ‘হল অফ ফেম’
শহরে হাজির লিয়েন্ডার পেজ। ভিনেশ, নীরজ, মানুদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জানিয়ে দেন, অলিম্পিক নিয়ে মুখ খুলবেন না। সাতটি অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন লি। এই মঞ্চে বিশাল অভিজ্ঞতা। তীরে গিয়ে তরী ডুবছে ভারতের। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছেন ছ’জন ভারতীয় অ্যাথলিট। কোথায় পিছিয়ে পড়ছে ভারতীয়রা? এই প্রশ্নও এড়িয়ে যান টেনিস তারকা। তবে ব্যর্থতার পর অ্যাথলিটদের আবার সাফল্যের সরণিতে ফিরে আসার রাস্তা বাতলে দিলেন। লিয়েন্ডার বলেন, ‘আমার আবেগ, সহানুভূতি প্রত্যেক ভারতীয় অ্যাথলিটদের সঙ্গে আছে। তাঁদের প্রতি আমার সমর্থনও রয়েছে। মাঠেই চ্যাম্পিয়ন তৈরি হয়। প্রতিভা ঈশ্বরের দান। তারসঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক শক্তি বাড়াতে হয়। প্রত্যেক ব্যর্থতার পর উঠে দাঁড়াতে জানতে হয়। কোচ, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভারতে পারিবারিক বন্ধন আলাদা গুরুত্ব পায়। নিজের কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে অ্যাথলিটদের হতাশা থেকে বেরোনোর চেষ্টা করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক টেনিস ‘হল অফ ফেম’ এ জায়গা পেয়েছেন লিয়েন্ডার। এই প্রাপ্তি অর্জনের জন্য তাঁকে সংবর্ধনা জানায় বন্ধন ব্যাংক। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠান হয়। লিয়েন্ডার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বন্ধন ব্যাংকের অন্তর্বর্তী ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও রতন কুমার কেশ। ‘হল অফ ফেম’এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম নিজের পুরোনো শহরে সম্মানিত হতে পেরে খুশি লি। এই শহরেই তাঁর বেড়ে ওঠা। পার্ক সার্কাস, পার্ক স্ট্রিটের অলিগলিতে পাড়া ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছেন। তাই নতুন কীর্তি গড়ার পর নিজের শহরে সংবর্ধিত হতে পেরে আনন্দিত।
অলিম্পিক নিয়ে মুখে কুলুপ আটলেও, আসন্ন ডার্বি নিয়ে খোলামেলা টেনিস তারকা। লিয়েন্ডার বলেন, ‘এই শহরে আমি বেড়ে উঠেছি। পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাসের অলিগলিতে পাড়া ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলে আমি বড় হয়েছি। আমার বাবাকে ময়দানে হকি খেলতে দেখেছি। কলকাতার ময়দান আমাকে পরিচিতি দিয়েছে।
আমার জীবনের পাঠ আমি ময়দান থেকে শিখেছি। ডার্বির বয়স একশো বছর। ঐতিহাসিক ম্যাচ। যুবভারতী এশিয়ার অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম। আমি মাঠে বসে একাধিক মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দেখেছি।’ শিশুদের জন্য কিছু করতে চান লি। ভবিষ্যত প্রজন্মের শারীরিক এবং মানসিক গঠনে অবদান রাখতে চান অলিম্পিয়ান।