হাসিনার মুখের ওপরে দরজা বন্ধ করে দিল!আমেরিকা,ব্রিটেনের দরজা বন্ধ, ধন্দে ভারত, এবার কোথায় যাবেন মুজিব-কন্যা?
এখনও আশ্রয় চাননি। তার আগেই বন্ধ হয়ে গেল দরজা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের ওপরে দরজা বন্ধ করে দিল আমেরিকা। বাংলাদেশ ছাড়ার পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পাকাপাকিভাবে ভারতে নয়। অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতে পারেন মুজিবর কন্যা হাসিনা। সংশয়-ধোঁয়াশা। পদক্ষেপ আমেরিকার। বাতিল করে দেওয়া হল শেখ হাসিনার কূটনৈতিক ভিসা। দেশ ছেড়ে ভারতে আসার পরই আশ্রয় খুঁজছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু কোনও দেশ থেকেই সদর্থক উত্তর পাচ্ছেন না। হাসিনার প্রথম পছন্দ লন্ডন। ব্রিটেন আপাতত হাসিনাকে আশ্রয় দিতে রাজি নয়। বাংলাদেশে চলা হত্যালীলার প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে ব্রিটেন। মার্কিন দেশ, শেখ হাসিনার কূটনৈতিক ভিসা বাতিল করে। কূটনৈতিক ভিসার জোরেই রাষ্ট্রপ্রধানরা বিভিন্ন দেশে যান, তাদের আলাদাভাবে ভিসার আবেদন করতে হয় না। শেখ হাসিনার সময়কালেই আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হয়। আমেরিকা সামরিক ঘাঁটি বানাতে চেয়েছিল, কিন্তু রাজি হননি হাসিনা। এরপরই সম্পর্কের অবনতি হয়।
হাসিনা কী করবেন? ভারতেই কি থেকে যাবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? ভারত আশ্রয় দেবে তো?
হাসিনার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে জামাতের উত্থানের সঙ্গেও ভারতকে লড়াই করতে হবে। জামাতের শক্তিবৃদ্ধি বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানের প্রত্যাবর্তনের দরজা খুলে যাওয়ার আশঙ্কা। আসরে নামতে পারে চিনও। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে বেজিং নিজেদের প্রভাব আরও বেশি করে বাড়াতে পারে বাংলাদেশের উপরে। অতীতে মায়ানমার, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও যা হয়েছে। সব মিলিয়ে পশ্চিমে পাকিস্তান, উত্তরে চিন, নেপাল, দূর পশ্চিমে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান, ভারতবিরোধী মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের চারপাশে বড়সড় অস্বস্ত ভারতের সামনে। চিনের পরই এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত। উপমহাদেশে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে তাদের মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কেও প্রভাব পড়তে পারে। হাসিনার ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গেই দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে টালবাহানার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।