January 17, 2025

মাহিতোষের বিশ্বমানের গোল! মহমেডানের হার, ডুরান্ডের নক আউট পর্বে বেঙ্গালুরু

0
WhatsApp Image 2024-08-06 at 22.01

বেঙ্গালুরু এফ সি – ৩ (জোভানোভিচ, দীপু-আত্মঘাতী, বিনীত)
মহমেডান স্পোর্টিং – ২ (ইসরাফিল, মাহিতোষ)

দুই ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। ইন্টার কাশির সঙ্গে ড্রয়ের পর বেঙ্গালুরুর কাছে হার। শেষ আটে যাওয়া কঠিন হল সাদা কালো ব্রিগেডের। ম্যাচের বয়স ৮১ মিনিট। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন মহমেডানের গোলকিপার শুভজিৎ। ম্যাচে পাঁচটি পরিবর্তন করেন সাদা কালোর কোচ হাকিম। মিনিট খানেকের বিভ্রান্তি। গোলকিপারের জার্সি পরতে দেখা গেল মহমেডানের ডিফেন্ডার দীপু হালদারকে। বক্সের মাথায় তখন ফ্রিকিক নেওয়ার জন্য তৈরি সুনীল ছেত্রী।

চতুর্থ গোলের অপেক্ষায় বেঙ্গালুরু। ফ্রিকিক তেকাঠিতে রাখলেন সুনীল। গোলের নীচে তাঁর শট বাঁচান সাদা কালোর ডিফেন্ডার, থুড়ি অস্থায়ী গোলকিপার দীপু। যা দেখে হাসি চেপে রাখতে পারেননি সুনীল। ম্যাচের শেষ হাসিও অবশ্য হাসেন জেরার্ড জারাগোজা। ডুরান্ড কাপের নক আউট পর্বে বেঙ্গালুরু এফসি। মঙ্গলবার যুবভারতীতে মহমেডান স্পোর্টিং‌কে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই শেষ আটের ছাড়পত্র সংগ্রহ করলেন সুনীল ছেত্রীরা‌। শেষ ২০ মিনিট ঘটনাবহুল। জোড়া গোল মহমেডানের।‌

দশজনে হয়ে যাওয়ার পরও গোল হজম করার বদলে ব্যবধান কমায় কলকাতার প্রধান। বিশ্বমানের গোল মাহিতোষ রায়ের। বক্সের প্রায় ৩০ গজ বাইরে থেকে দূরপাল্লার কোনাকুনি শটে গোল। টুর্নামেন্টের সেরা গোলের তালিকায় নিঃসন্দেহে জায়গা পাবে এই গোল। প্রথমার্ধে প্রতিরোধ গড়তে না পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে সাদা কালো ব্রিগেড।

প্রথমার্ধ পুরোপুরি বেঙ্গালুরুর। বিরতির আগেই জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ে মহমেডান। প্রথমার্ধে কোনও পরীক্ষার মুখেই পড়তে হয়নি গুরপ্রীতকে। প্রথম একাদশে সুনীল ছেত্রীকে রাখেননি বেঙ্গালুরু কোচ জেরার্ড জারাগোজা। তবে তাঁকে ছাড়াই বিরতির আগে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। ম্যাচের ৭ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আলেকজান্ডার জোভানোভিচ। মহম্মদ সালার কর্নার থেকে হেডে গোল অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডারের। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও, মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নেন পেরেরা ডিয়াজ। তাঁর শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঠেলে দেন মহমেডানের দীপু হালদার। আত্মঘাতী গোল। প্রথমার্ধে মহমেডানের একটাই গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সজল বাগ। বিদেশিদের নিয়ে ডুরান্ড কাপ খেলতে এসেছে বেঙ্গালুরু। কলকাতা লিগের দল খেলাচ্ছে মহমেডান।‌ দলে কোনও বিদেশি নেই। তাই স্বভাবতই দাপট বেঙ্গালুরুরই বেশি থাকবে। প্রথমার্ধে অন্তত চার গোলে এগিয়ে থাকতে পারত বেঙ্গালুরু। কিন্তু সুযোগ নষ্টে গোল সংখ্যা বাড়েনি।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেন জারাগোজা। শুরুতেই গুরপ্রীতের পরিবর্তে মাউইয়াকে নামানো হয়। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে নামেন সুনীল ছেত্রী। ডুরান্ডের প্রথম দুই ম্যাচে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নেমে গোল পেয়েছেন। এদিনও স্কোরশিটে নাম তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সালার ক্রস থেকে ফাঁকায় গোল পেয়েও তেকাঠিতে রাখতে পারেননি মেন্ডেজ। ম্যাচের ৬০ মিনিটে তৃতীয় গোল বেঙ্গালুরুর। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শটে দুরন্ত গোল বিনীতের। দলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সুনীল। কিন্তু টার্ন নিয়ে বল বাড়ান পেরেরা ডিয়াজকে। গোলে রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনার ফুটবলার। বিপক্ষের কিপারকে সামনে একা পেয়েও বাইরে মারেন।

ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ব্যবধান কমান ইসরাফিল দেওয়ান। কলকাতা লিগে নিয়মিত গোল করার পর ডুরান্ডেও গোল পেলেন তরুণ ফুটবলার। ম্যাচের ৮১ মিনিটে পেরেরা ডিয়াজকে ফাউল করায় লালকার্ড দেখেন মহমেডানের গোলকিপার শুভজিৎ। পাঁচটি পরিবর্তন করে ফেলায় গোলকিপারের ভূমিকা নিতে হয় ডিফেন্ডার দীপু হালদারকে। শেষ ৯ মিনিট গোলের নীচে দেখা যায় দীপুকে। গোলকিপারের ভূমিকায় শুরুতেই সুনীল ছেত্রীর ফ্রিকিক বাঁচান।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed