বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে সর্বদল বৈঠক! সেনা সমর্থিত সরকার কিংবা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার, “এই ধরনের কোনও সরকারকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা গ্রহণ করবে না
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি। সংসদের অ্যানেক্স ভবনে শুরু সর্বদল বৈঠক। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কিরেণ রিজিজু। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন রাহুল গান্ধী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। চাপের মুখে নতিস্বীকার করে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেই বাংলাদেশ ছাড়েন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান। শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে আন্দোলনকারীদের একাংশ সেখান থেকে লেপ, কাঁথা, বালিশ ও চেয়ার থেকে শুরু করে টেবিল ফ্যান, চেয়ার, সোফাসেট, কম্বল, জলের ফিল্টার, মাইক্রোওভেন লুট করে পালায়। এমনকী, বাসভবন থেকে মুগরি, পায়রা এমনকী ফ্রিজ খুলে মাছ-মাংস নিয়েও চম্পট দেয় তারা। ঘড়ি, রাউটার, কাগজ, কম্পিউটার, এসি, ফ্রিজ কিছুই বাদ যায়নি। অনেকে গণভবনের জলাশয়ে জাল ফেলে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় গণভবনের বিভিন্ন ঘর ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।
এদিকে, সেনা সমর্থিত সরকারই হোক কিংবা জরুরি অবস্থার ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার হোক। “এই ধরনের কোনও সরকারকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা গ্রহণ করবে না।”আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বলেন, আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, নাহিদ, সারজিস, আসিফদের মতো ছাত্রনেতারাই আগামী দিনে সংসদে বসবেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের সকল নেতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে সকল বিষয়ে কথা বলে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের মতামতকেই সকল বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমরা আর কদিন? আজকের নাহিদ, সারজিস, আসিফরাই তো কাল সংসদে বসবে। ওরাই তো দেশটা চালাবে।” অর্থনীতিবিদ ইউনুসের নেতৃত্বেই সরকার গঠন হতে পারে বাংলাদেশে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সেনার তরফে মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশ চাইছেন তাঁকে। ইউনুসের নিজেরও দায়িত্ব নিতে খুব একটা আপত্তি নেই! বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জেলমুক্তির নির্দেশিকা জারি করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন বাংলাদেশের বিরোধী দলের কার্যকরী চেয়ারম্যান তথা খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারিখ রহমান।