মৃত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ! তিন শতাধিক নিখোঁজ?বাংলার ২৪২ জন শ্রমিক কেরলে আটকে ধসে বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে
ওয়েনাড়ে। কেরলের এই জেলায় ভয়ঙ্কর ভূমিধস। ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা গিয়েছে। আরও ৩০০ জনের বেশী নিখোঁজ। মৃতের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আশঙ্কার মেঘ মাথার ওপর নিয়েই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা উদ্ধারকারীদের। সারমেয় এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মৃত বা জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। বাংলার ২৪২ জন শ্রমিক কেরলে আটকে আছেন। ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। আটকে পড়া ওই শ্রমিকরা দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা।
ওয়েনাড়ের মেপ্পাদির কাছে একাধিক পাহাড়ি এলাকায় ধস। রাত ১ টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধস নেমেছিল। ঘণ্টাতিনেক পরে দ্বিতীয় ধস নামে একটি স্কুলের কাছে। তার জেরে আশপাশের বাড়ি এবং দোকানের মধ্যে জল এবং কাদা ঢুকে যায়। একটি ব্রিজও ভেঙে পড়ে। কমপক্ষে ৪০০টি পরিবার আটকে পড়ে। একাধিক গাড়ি ভেসে যায়। দুর্যোগের জেরে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। দুর্যোগের মধ্যেই উদ্ধারকাজ জারি রাখতে চটজলদি বেইলি ব্রিজ তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। আটকে থাকা মানুষজনকে নিরাপদস্থানে নিয়ে আসার প্রয়াস। ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ, সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং স্থানীয় কুইক রেসপন্স দলের সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। কান্নুরের ডিএসসি সেন্টারের ভারতীয় সেনা কর্মী এবং কোঝিকোড় থেকে ১২২ টিএ ব্যাটালিয়নও ঘটনাস্থলে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ ও ধ্বংসস্তূপে কেউ বেঁচে আছে কি না, তা জানতে ড্রোনের মাধ্যমে খুঁজে দেখা হচ্ছে। বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।