October 3, 2024

রাইফেলে ব্রোঞ্জ স্বপ্নিল কুশালের, প্যারিস অলিম্পিকে শুটিংয়ের জয়জয়কার

0

স্বপ্নিলের স্বপ্নপূরণ। দেশকে দিলেন ব্রোঞ্জ। শুটিংয়ের হাত ধরে অলিম্পিক্সে তৃতীয় পদক ভারতের।অলিম্পিক্সে ভারতের আরও এক পদক। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতের স্বপ্নিল কুসালে। তিনটি পদকই এল শুটিং থেকে। মনু ভাকের, সরবজ্যোৎ সিংহের পর তৃতীয় পদক এনে দিলেন স্বপ্নিল। মনু ভাকের, সরবজ্যোৎ সিংহের পর তৃতীয় পদক স্বপ্নিলের হাত ধরে। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে এই প্রথম অলিম্পিক্সে পদক জিতল ভারত।

ফাইনালের প্রথমে ছিল ‘নিলিং’, অর্থাৎ হাঁটু মুড়ে বসে শুটিংএ প্রথম সিরি‌জে পাঁচটি শট ৫০.৮ স্কোর করেন। পরের সিরিজে স্কোর ৫০.৯। তৃতীয় সিরিজে ৫১.৬ স্কোর। ‘প্রোন’, অর্থাৎ বুকে ভর দিয়ে শুটিংয়ে ৫২.৭, ৫২.২ এবং ৫১.৯ স্কোর করে সাত থেকে চারে আসেন। ‘স্ট্যান্ডিং’, অর্থাৎ দাঁড়িয়ে শুটিং বিভাগের দু’টি সিরিজে ৫১.১ এবং ৫০.৪ স্কোর করে তিন নম্বরেই পদকের আশা। একটি শটের পরে ‘এলিমিনেশন’ অর্থাৎ এক জন করে বাদ। তিন নম্বর স্থান ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল স্বপ্নিলের। প্রথম শটে ১০.৪, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শটে ৯.৪ ও ৯.৯ স্কোর করে স্বপ্নিল তৃতীয় স্থানে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেন।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা সের্হি কুলিশের সঙ্গে ০.৬ পয়েন্টের পার্থক্যে স্কোর ৯.৯ স্কোর করে রুপো নিশ্চিত করে ফেলেন। সোনাজয়ী চিনের ইয়ুকুন লিউ।

মহেন্দ্র সিং ধোনির মতোই টিকিট কালেক্টর স্বপ্নীল। ধোনি চাকরি ছেড়ে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন। স্বপ্নিল স্বপ্নীল চাকরি বজায় রেখে অলিম্পিকে গিয়েছেন। মানু ভাকেরের জোড়া পদকের পর প্যারিস অলিম্পিকে তৃতীয় পদক এল স্বপ্নীলের হাত ধরে। ১৯৯৫ সালের ৬ অগস্ট মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কম্বলওয়াড়ি গ্রামনে জন্ম স্বপ্নিলের। বাবা শিক্ষক। মা গ্রামের প্রধান। ছোট থেকেই নিশানা ভাল ছিল স্বপ্নিলের। সেই কারণে বাবা তাঁকে ভর্তি করে দেন একটি শুটিং স্কুলে। সেই শুরু। ছোট থেকেই একের পর এক প্রতিযোগিতা জিতেছেন স্বপ্নিল। ২০১৫ সালে এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন ৩ প্রতিযোগিতায় সোনা জেতেন তিনি। জাতীয় শুটিং প্রতিযোগিতার দু’বারের চ্যাম্পিয়ন স্বপ্নিলকে নিয়ে আশা পূরণ করেছেন।

ছোট থেকেই ধোনির ভক্ত স্বপ্নিল। ধোনিকে আদর্শ মনে করে চলেন। একটি সাক্ষাৎকারে ভারতীয় শুটার বলেছিলেন, “আমি শুটিং জগতের কাউকে আদর্শ মনে করি না। আমার আদর্শ ধোনিস্যর। কোনও দিন ওঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। কিন্তু ওঁকে দেখে অনেক কিছু শিখি। উনি যেমন মাঠে শান্ত থাকতেন, আমিও শুটিং রেঞ্জে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করি। তাতে লক্ষ্যপূরণ করা সহজ হয়। উনিও টিকিট কালেক্টর ছিলেন। আমিও সেই চাকরি করি।” ২০১৫ সাল থেকে মধ্য রেলে টিকিট কালেক্টরের চাকরি করেন স্বপ্নিল। তার মধ্যেই নিজের শুটিং চালিয়ে গিয়েছেন। এই প্রথম ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজ়িশনসে ভারতের কোনও শুটার পদক জিতলেন। নিজের প্রথম অলিম্পিকেই পদক জিতলেন স্বপ্নিল। ২০০৭ সালে অধিনায়ক হয়েই টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ধোনি। 

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed