বিধ্বস্ত ওয়েনাড়েতে যাচ্ছেন না রাহুল-প্রিয়াঙ্কা! শুধুই হাহাকার, মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে, ভারি বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে উদ্ধারকাজ
বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের গ্রাম জুড়ে স্বজনহারাদের হাহাকার। বুধবার সকালে আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩। আহত আরও ১৮৬ জন। তাঁরা ভর্তি হাসপাতালে। এখনও শতাধিক মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বিধ্বস্ত এলাকা থেকে এক হাজার মানুষকে তারা উদ্ধার করেছে। ধসের জেরে একটি ব্রিজ সম্পূর্ণ তলিয়ে যায়। নতুন করে ওই এলাকায় অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে তারা। এ পর্যন্ত ৪৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। তিন হাজারের বেশি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। ওয়েনাড় পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
সফর আপাতত স্থগিত রেখেছেন। ভারি বৃষ্টির কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন। বুধে ওয়েনাড়ে যাওয়া নিয়ে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সামনে বাধ সাধল আবহাওয়া, অবতরণ করতে পারবে না উড়ান। যদিও খুব শীঘ্রই ওয়েনাড়ে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মঙ্গলবার রাতেই কালিকটে পৌঁছে গেছেন। ওয়েনাড়ের উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে এবং হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন বোস। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন রাহুল। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে যত শীঘ্র সম্ভব দেখা করতে ওয়েনাড়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। প্রিয়ঙ্কাও সমাজ মাধ্যমে ওয়েনাড়বাসীর উদ্দেশে লিখেছেন, এই কঠিন মুহূর্তে ওয়েনাড় যেতে না পারলেও, ওয়েনাড়বাসীর পাশে তাঁরা সব সময়ের জন্যই আছেন।