ক্যান্সার কেড়ে নিল ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে! ৭১ বছর বয়সে চলে গেলেন অংশুমান গায়কোয়াড়
প্রয়াত হলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। বুধবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন গায়কোয়াড়। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। মাস খানেক আগে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। নিজের শহর বরোদাতেই চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হন।
https://twitter.com/SGanguly99/status/1818710901702209600?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1818710901702209600%7Ctwgr%5Ea1250d47f5a25c99de5e2f0510ee65301132aa68%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.anandabazar.com%2Fsports%2Fcricket%2Fformer-indian-cricketer-anshuman-gaekwad-passed-away-dgtl%2Fcid%2F1535097
অংশুমান গায়কোয়াড় ২২ বছরের ক্রিকেট জীবনে দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেন। ১৯৭৪ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়। ৪০টি টেস্টে ৩০.০৭ গড়ে ১৯৮৫ রান করেন। শতরান করেছেন দু’টি, অর্ধশতরান ১০টি। সর্বোচ্চ রান ২০১। মোট ১৫টি এক দিনের ম্যাচও খেলেছেন তিনি। ২০.৬৯ গড়ে ২৬৯ রান করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০৬টি ম্যাচে ১২১৩৬ রান করেছেন। শতরান ৩৪টি।
Shri Anshuman Gaekwad Ji will be remembered for his contribution to cricket. He was a gifted player and an outstanding coach. Pained by his demise. Condolences to his family and admirers. Om Shanti.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 31, 2024
ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বও সামলেছেন। গায়কোয়াড়ই ভারতীয় দলের কোচ থাকাকলীন অনিল কুম্বলে দিল্লিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে ইনিংসের ১০টি উইকেটই তুলে নিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে, থাকাকালীন প্রয়োজনীয় অর্থ ছিল না তাঁর কাছে। ভারতের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার সন্দীপ পাতিল তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন গায়কেয়াড়কে সাহায্য করার জন্য। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে যখন গায়কোয়াড় ভর্তি ছিলেন, সেখানে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন পাতিল ও দিলীপ বেঙ্গসরকার। পাতিল একটি সংবাদপত্রে তাঁর কলমে লিখেছিলেন, “অংশু আমাকে বলল, চিকিৎসার জন্য ওর অর্থের প্রয়োজন। তার পরেই আমি আর দিলীপ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলারের সঙ্গে কথা বলি। অংশুকে দেখে ফিরেই আমরা ফোন করি আশিসকে।” পরে ‘৮৩-র বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও বোর্ডের কাছে একই অনুরোধ জানান। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ তারপর ফোনে কথা বলেছিলেন গায়কোয়াড়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কঠিন সময় তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন বোর্ড সচিব। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার জন্য ১ কোটি টাকা দেয়।