কেরল সরকারের গাফিলতি : অমিত শাহ, এখন কিন্তু দোষারোপের সময় নয় : মুখ্যমন্ত্রী
“গত ২৩ জুলাই অর্থাৎ দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কেরল সরকারকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। তার পর ২৪ এবং ২৫ জুলাই আরও দুটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। গত ২৬ জুলাই আরও একবার প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকী এনডিআরএফের ৯টি দলও পাঠানো হয়েছিল কেরলে।” রাজ্যসভায় বিবৃতি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আক্ষেপ, “২০১৪ সাল থেকে আগাম সতর্কবার্তার বন্দোবস্ত করার জন্য ২০০০ কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্র। সেই মতো কেরল সরকারকে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু কেরল সরকার কোনও মানুষকেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়নি। যদি নাগরিকদের নিরাপদে সরানো হত, তাহলে এত মানুষের প্রাণ যেত না।” কেরলের বাম সরকারকে রীতিমতো কাঠগড়ায় তুলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই ইস্যুতে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। এখন সময়টা কেরল সরকারের পাশে দাঁড়ানোর।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি খারিজ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের। বিজয়ন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘ওয়েনাড়ে ধসের সম্ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কেরলকে কোনও সতর্কবার্তা পাঠানো হয়নি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-এর তরফে ভূমিধসের কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। শুধু ওয়েনাড় জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সংক্রান্ত কমলা সতর্কতা। কার্যক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫০০ মিলিমিটারের বেশি। যা পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক বেশি।’’
১২ জন জওয়ান মিলে মানবসেতু। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানেরা। ওই গ্রামে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন ১২২ ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন মাদ্রাসের জওয়ানেরা। ১২ জন জওয়ান মিলে মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে। ভূমিধসের কারণে কেরলের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ওয়েনাড়ের কয়েকটি গ্রাম। যোগাযোগের কোনও উপায় নেই। যাতায়াতের রাস্তাও ভেসে গিয়েছে। নদী বইতে শুরু করেছে ভিন্ন পথে। এই পরিস্থিতিত ওয়েনাড়ে দিনরাত এক করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন জওয়ানেরা। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। ওয়েনাড়ে বৃষ্টি চলছে। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ।