February 18, 2025

টানা বৃষ্টির জেরে কেরলের ওয়েনাড়ে ধস,মৃত ১০৬! বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা, দুর্যোগের মধ্যেই উদ্ধারকাজ সেনার

0
Heavy Rain in Keral

টানা বৃষ্টির জেরে ধস। ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। কাদাপাথরের স্তূপে চাপা পড়ে মৃত সাত। ধ্বংসস্তূপে আরও অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কথামতো সংশ্লিষ্ট সব দফতর এবং বিভাগকে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ। টানা কয়েক দিন ধরেই ভারী বর্ষণ ওয়েনাড়ে। মঙ্গল ভোর ৩টে নাগাদ ওয়েনাড়ের পার্বত্য এলাকায় প্রথম ধস নামার খবর। ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস। ভোরেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।

বায়ুসেনার দু’টি হেলিকপ্টারকেও উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়েছে।। ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক বছরের এক শিশুরও। আহত ১৬ জনের চিকিৎসা চলছে মেপ্পাডি এলাকার একটি হাসপাতালে। অন্তত ১০০ জন মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “উদ্ধারকাজে গতি আনতে সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে।” যদিও বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যেই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে কেরল সরকারকে সব রকম সাহায্য করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ওয়েনাড়ের বিপর্যয় নিয়ে এক্সে পোস্ট কংগ্রেস নেতা তথা এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী জানান, উদ্ধারকাজের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় জেলাশাসকের কথা হয়েছে।

ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ির কাছে পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন-সহ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ২২৫ জন জওয়ান উদ্ধারকাজে নেমেছেন। তিরুঅনন্তপুরমে ১৪০ জন জওয়ান প্রস্তুত রয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁদের আকাশপথে ওয়েনাড়ে নিয়ে আসা হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছে, নৌসেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে নেমেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। আপাতত অস্থায়ী শিবিরে রয়েছেন তাঁরা। কেরলের মুন্ডাক্কাই, ছুরালমালা, আট্টামালা, নুলপুঝা এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু রাস্তা ধসে গিয়েছে। একটি সেতুও ভেঙে পড়েছে। সে কারণে, বহু জায়গায় এখনও পৌঁছতেই পারেনি উদ্ধারকারীরা। আবহাওয়া খারাপ থাকায় আকাশপথেও উদ্ধার সম্ভব হয়নি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed