আজ থেকে টলিপাড়ার সমস্ত ফ্লোর অচল! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বাংলা সিনেমা-ধারাবাহিকের শুটিং
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনে ভরা টলিপাড়াই আজ স্তব্দ। সপ্তাহের শুরুতেই টলিউডের অন্দরে ক্যামেরা বন্ধ। কোনও শোরগোল নেই। খাঁ খাঁ করছে টেকনিশিয়ান স্টুডিও, দাশানি স্টুডিও তথা গোটা সিনেমাপাড়া। গতকাল এই ফ্লোরেই মহালয়ার শুটিং করেছেন কোয়েল মল্লিক। সোমবারও হওয়ার কথা ছিল শুটিং। কর্মবিরতির কারণে আজ সেই শুটিংও হচ্ছে না।“যতক্ষণ না পরিচালকদের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত শুটিং ফ্লোরে সদস্যদের অর্থাৎ পরিচালকদের অনুপস্থিত থাকতে বলা হচ্ছে।” ডিরেক্টর্স অ্য়াসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশান পিকচার্সের বিবৃতি। “অধিকাংশ পরিচালক সদস্যদের আবেগ ও মতামতকে গুরুত্ব এবং মান্যতা দিয়েই ফ্লোর বয়কটের সিদ্ধান্ত।” ক্ষুব্ধ পরিচালকদের প্রতিবেদনে অভিযোগ, “২৭ জুলাই রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একটি বাংলা ছবির শুটিং টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে ছিল। ফেডারেশনের আওতাভুক্ত টেকনিশিয়ানরা সেই শুটিংয়ে উপস্থিত হননি, ফলত শুটিং করাই যায় না এবং ওখানে উপস্থিত পরিচালক, অভিনয় শিল্পী সকলে চূড়ান্ত অপমানিত হন। যতক্ষণ না রাহুল মুখোপাধ্যায়কে পরিচালক হিসেবে মেনে নিয়ে ফেডারেশনের কলাকুশলীরা শুটিং করতে রাজি হচ্ছেন, ততক্ষণ আমরা পরিচালকরা সোমবার,২৯ জুলাই, ২০২৪ থেকে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত অসহযোগিতায় যেতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের ডিরেক্টরস গিল্ড রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ওপর আরোপিত কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও যেভাবে বাকি গিল্ডের টেকনিশিয়ানরা অসহযোগিতা করতে চালিত হয়েছেন, তা শুধু রাহুলের জন্য নয়, আমাদের প্রত্যেক পরিচালকের জন্য অপমানজনক এবং ক্ষতিকারক।” সম্মতি জানিয়ে সই রাজ চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, অতনু ঘোষ, দেবালয় ভট্টচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেরই।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম-এর তরফে বলা হয়েছে, “সকল ভিন্নমতাবলম্বীদের মাঝে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব নিয়ে একটি সমাধান সূত্রের খোঁজে অগ্রণী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। টলিপাড়ায় প্রত্যেকটি শিল্পী, কলাকুশলীরা যেন স্বক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে যেতে পারে এবং কোনওরকম অসহযোগিতার সম্মুখীন না হন”, আর্জি আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি রঞ্জিত মল্লিকের। সকলের একটাই কথা, “কোনওভাবেই শুটিং যাতে ব্যাহত না হয়।” কলাকুশলী ভার্সেস পরিচালক, ফেডারেশন ভার্সেস ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন দ্বন্দ তুঙ্গে।