ভোটের পরে দলের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন লোকসভা নিয়ে
বিরাটিতে ডিওয়াইএফআইয়ের মুখপত্রের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানে সিপিএমের যুব সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সরব। রাজ্যের প্রশাসনিক উদ্যোগে ‘জবরদখল’ উচ্ছেদের প্রক্রিয়া। যার কোপে হকারেরা। ইজরায়েলের হামলার প্রতিবাদে এবং প্যালেস্তাইনের সমর্থনে শহরে মিছিল ছিল বামফ্রন্টের। পুলিশের বাধায় মার্কিন তথ্যকেন্দ্র পর্যন্ত বাম মিছিল যেতে পারেনি। গ্র্যান্ড হোটেলের কাছে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
ধর্মতলা চত্বরেই ভিক্টোরিয়া হাউজ়ের সামনে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, সিইএসসি-র মালিক রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনী বন্ডে চাঁদা দিয়েছেন। এখন শহরবাসীকে বাড়তি বিদ্যুতের বিল ধরিয়ে টাকা উসুল করা হচ্ছে! বর্ধিত বিল প্রত্যাহার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। অথচ সিপিএম নির্বাচনী বন্ডের বিরুদ্ধে এবং বাড়তি বিদ্যুৎ মাসুল নিয়ে গোড়া থেকে সরব, তাদের তেমন রাস্তায় দেখাই যাচ্ছে না!
সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন লোকসভা ভোটের পরে দলের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে। ভোটের আগে এবং ভোটের প্রচারে দলের তরুণ বাহিনীর আর রাস্তায় প্রায় দেখাই মিলছে না! দলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশই অবশ্য দ্রুত মাঠে নেমে পড়তে উৎসুক। বিজেপি নেতারা ‘রাজ্য ভাগের চক্রান্ত’ করছেন, এই অভিযোগে সিপিএম মিছিলের ডাক দিয়েছিল গড়িয়া থেকে যাদবপুরে। তাতেই শামিল সুজন চত্রবর্তী, বিকাশ ভট্টাচার্য, সৃজন ভট্টাচার্যেরা। সময় থাকতেই রাজ্য স্তরে এমন প্রতিবাদের ডাক দিলে আরও সাড়া মিলতো।
বাংলাদেশের ছাত্র-মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামতে গেলে পাছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধিতা মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে কলকাতার রাজপথে সিপিআই, আরএসপি, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এবং এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ‘সংহতি মিছিল’ করলেও তাতে এসএফআই শামিল হয়নি। মালদহে বিদ্যুৎ নিয়ে পুলিশের গুলি চালনার প্রতিবাদ, বন্ধের কর্মসূচি অবশ্য সিপিএম এর মধ্যে নিয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘‘দু’মাস ধরে একেবারে নিচু তলা থেকে ধরে ধরে ভোটের ফল এবং আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতির পর্যালোচনা হচ্ছে। রাজ্য নেতারা জেলায় জেলায় বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন। আন্দোলন থেকে আমরা সরে গিয়েছি, এমনও নয়। স্থানীয় স্তরে নানা বিষয়ে রাস্তায় নামা হচ্ছে। এর পরে সর্বত্র তার গতি বাড়ানো হবে।’’