‘রাহুলকে মানি না’ স্লোগান, ষড়যন্ত্র করে বন্ধ শুটিং, ফেডারেশনের বৈঠক সেরে দাবি স্বরূপের
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক সেরেছিলেন পরিচালকেরা। বিকেলে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস্ স্টুডিয়োয় গিল্ড কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসল ফেডারেশন। ফেডারেশনে কর্তারা জানালেন, “গুপি শুটিং মানছি না” বা “রাহুল মুখোপাধ্যায়কে পরিচালক হিসেবে মানি না”। স্টুডিও চত্বরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন টেকনিশিয়ানরা। উঠল ‘মানছি না, মানব না’ স্লোগান। ফেডারেশন যুগ্ম সম্পাদক সুজিত কুমার হাজরা বলেন, “গত কাল থেকে আজ ভোর পর্যন্ত যে সমস্ত সেকেন্ড ইউনিট শুটিং করেছে, আমরা তো অনুমতি দিয়েছি। আর বলা হচ্ছে আমরা নাকি শুটিং বন্ধ করেছি! ” পরিচালকদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টেকনিশিয়ানদের নাকি নাভিশ্বাস ওঠে। সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে সাংবাদিক সম্মেলনে। অভিযোগ ওঠে, গত বছরের পুজোর ছবি, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দশম অবতার’-এর শুটিং-এ গভীর রাতের ‘কল টাইম’ দেওয়া হত।
চাই রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ, নিয়মের বাধা পেরিয়ে কাজ শুরু করতে চান টলি পরিচালকেরাফেডারেশন মনে করছে, ইচ্ছে করে সোমবার ইন্ডাস্ট্রি স্তব্ধ করে দিয়েছেন পরিচালকেরা। পুরোটাই ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি উঠেছে। ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র! তবে আমরা আলাপ আলোচনায় বসতে রাজি।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “সিনেমা পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু আজ সিরিয়ালের শুটিং বন্ধ করে যে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হল, সেটা প্রযোজকেরা জানান।”টেকনিশিয়ানস্ স্টুডিয়োয় সাংবাদিক বৈঠক করে ফেডারেশন। তার পর সন্ধ্যায় সেখানেই পাল্টা বৈঠকে বসে ডিরেক্টর্স গিল্ড। পরিচালকদের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তী-সহ অনেকেই। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’পক্ষই মিলেমিশে কাজ করবে। ভারতের একমাত্র নির্বাচিত ফেডারেশন। এতে নাক না গলানোই ভাল। ওঁরা নিজেরাই মিটিয়ে নেবে।”