আশিয়ান জয়ের ২১ বছর উদযাপন, ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন
আশিয়ান কাপ জয়ের ২১ বছর উদযাপন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে শুক্রবার বিকেলে আশিয়ান জয়ী দলের সদস্যদের সম্মানিত করা হয়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন ভাবে তৈরী আশিয়ান কাপের সেই ঐতিহ্যশালী জার্সি এবং স্মারক। উপস্থিত ছিলেন দেবজিৎ ঘোষ, বিকাশ পাঁজি, দীপক মণ্ডল, ষষ্ঠী দুলে, দীপঙ্কর রায়, অনিত ঘোষ, চন্দন দাস প্রমুখ। যেসব আশিয়ান জয়ী সদস্য উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাঁদের জার্সি বাড়িতে কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আশিয়ান জয়ী দলের সদস্যদের সঙ্গে কেক কেটে ঐতিহাসিক জয়ের ২১তম বছরকে স্মরণীয় করে তোলেন ইস্টবেঙ্গলের সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া। ইস্টবেঙ্গলের বাকি কর্তারাও। আশিয়ান জয়ের ২১ বছর উদযাপনের পাশাপাশি ক্লাবের নবরূপে নির্মিত ‘মিডিয়া সেন্টার’ এর দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি মুরালি লাল লোহিয়া, সহ সভাপতি কল্যাণ মজুমদার, সচিব রূপক সাহা, সহ সচিব ড. শান্তি রঞ্জন দাসগুপ্ত, ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি, ক্রিকেট সচিব সঞ্জীব আচার্য, মাঠ সচিব রজত গুহ, কার্যকরী কমিটির সদস্য দেবব্রত সরকার এবং আশিয়ান জয়ী দলের ফুটবলাররা।
মিডিয়া সেন্টারে পাঁচজন কিংবদন্তী সাংবাদিক কমল ভট্টাচার্য, অজয় বসু, পুষ্পেন সরকার, মতি নন্দী এবং কিশোর ভিমানীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। ক্লাব সভাপতি মুরালি লাল লোহিয়া তার বক্তব্যে কলকাতা ফুটবল লিগে ক্লাবের প্রথম ডার্বি জয় থেকে শতবর্ষের ডার্বি জয় সহ ক্লাবের নানা গর্বের অধ্যায় তুলে ধরেন।
আশিয়ান কাপের স্মৃতিচারণে বারবার উঠে আসে প্রয়াত কোচ সুভাষ ভৌমিকের প্রসঙ্গ। তুলে ধরা হয় দেবজিৎ ঘোষের চোটের অধ্যায়। গুরুতর চোট পেয়ে সেমিফাইনালে এবং ফাইনালে খেলতে পারেননি লাল হলুদের স্টপার। ২১ বছর পরও সেই বেদনা এবং হতাশা ধরা পড়ে দেবজিতের গলায়। চোট নিয়ে বেল্ট পরে মুসার খেলা, ওকোরোর জেদ, সবই উঠে আসে স্মৃতিচারণে। দেবজিৎ বলেন, ‘আমার সেই বছর ইস্টবেঙ্গলে সই করার কথাই ছিল না। নীতু দা এবং ভৌমিক দা জোর করে সই করায়। সেদিন যদি সই না করতাম, এই ঐতিহাসিক ঘটনায় আমার নাম থাকত না। আমার ফুটবল কেরিয়ারের বিশেষ দিন। আমরা ফুটবলকে ভালবেসে ফুটবলার হয়েছি। এই প্রজন্মের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। সেই সময় পড়াশোনার বাইরে কোনও কাজ ছিল না। শুধু ফুটবলটাই খেলতাম। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ভারতীয় দলের জার্সি পরা প্রত্যেক ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে। যতদিন ক্লাব থাকবে, ২৬ জুলাই ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম জড়িত থাকবে।’ সহ সভাপতি কল্যাণ মজুমদার, সহ সচিব ডা শান্তি রঞ্জন দাসগুপ্ত তাঁদের আশিয়ান কাপের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার আশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ থেকে ফুটবলার সই, আশিয়ান অধ্যায়ের নানান অজানা কথা জানান।