মহানায়ক তকমা পাওয়ার যোগ্যতা এখন কারোওর নেই, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পুরস্কারে ক্ষোভে আবেগপ্রবণ বিস্ফেরক রত্না ঘোষাল
আবেগপ্রবণ প্রবীণ অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল। উত্তম কুমার ছাড়া মহানায়ক তকমা পাওয়ার যোগ্য বর্তমানে কেউ নন, বললেন প্রবীণ অভিনেত্রী। তিনি মহানায়ক ছিলেন আছেন এবং থাকবেন, সকলের থেকে আলাদা ছিলেন সেই মানুষটা। ৮ বছর বয়সে প্রথম উত্তমকুমারের সঙ্গে কাজ করেছেন রত্না ঘোষাল। মহানায়কের ভালবাসা, বকাতেই কাজ শেখার শুরু। বর্তমানে একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামের আগে মহানায়ক তকমা মেনে নিতে নারাজ এই প্রবীণ অভিনেত্রী। রত্না ঘোষাল জানিয়েছেন, “মহানায়ক তকমাটা একমাত্র উত্তমকুমার ছাড়া আর কারোওর পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি না। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বলে ইনি মহানায়ক, উনি মহানায়ক। মহানায়কের কাছাকাছি যাওয়ার যোগ্যতাও নেই কারোওর। তবে, আমার কথাই তো শেষ কথা নয়। এখানে বলা হচ্ছে, দর্শকেরাও সেটা মেনে নিচ্ছেন। তবে আমার কাছে ইন্ডাস্ট্রিতে মহানায়ক উত্তমকুমার ছাড়া আর কেউ ছিলেনও না এবং হবেনও না।”
মহানায়ক উত্তম কুমারের কোন গুণ গুলো আজকের তারকাদের মধ্যে মিস করেন? রত্না ঘোষালের উত্তর, “উত্তমকুমার সব সময় যেটা বলতেন একজন ভাল শিল্পী হতে গেলে ভাল মানুষ হতে হয়, নিজের কাজটাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতে হয়। ছোট, বড় সব সহ অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করতেন তিনি, বলতেন, অভিনয়টা আসলে ফুলের সাজির মত, সব কটা ফুল থাকলে তবেই সাজি দেখতে ভাল লাগে। তিনি সকলকে শিখিয়ে নিতেন, যাতে সবাই মিলে কাজটা ভাল করতে পারি। এখন যারা আছেন, তাদের শেখার ইচ্ছে নেই এবং তেমন ভাবে কিছু পারে না।তাই উত্তমকুমার হতে গেলে আগে তাঁর মত করে শিখতে হবে।ছবি দেখতে হবে। কত মানুষকে সাহায্য করেছেন তিনি, কেউ জানতে পারেনি, কত মানুষকে বাঁচিয়েছেন। এখন তেমন আর কাউকে দেখতে পাই না।”