মহানায়ক সম্মান প্রাপ্তি রচনার, স্বরূপ বিশ্বাসের হুইপ জারিতে উত্তপ্ত টলিপাড়া
মহানায়ক উত্তম কুমারের মৃত্যু দিবস ২৪ জুলাই। এবারের মহানায়ক সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪৪ বছর আগে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। রেখে যান তাঁর কাজ এবং অগণিত ভক্তদের।
২০২৩ সাল থেকে ২৩ জন অভিনেতাকে মহানায়ক সম্মান জানানো হয়েছে, জানান মুখ্যমন্ত্রী। ১৪১ জন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে সম্মান বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্র জগতে অবদানের জন্য ২১ জন পুরস্কৃত করা হয়েছে। ২০২৪ উত্তম স্মরণ মঞ্চ থেকে এবারের মহানায়ক সম্মান প্রাপকদের তালিকায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, নচিকেতা চক্রবর্তী, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, রুক্মিণী মৈত্র। অনুষ্ঠানে মহানায়কের স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় উত্তম কুমারের সিনেমা দেখেছি। ওঁর ছবির গান শুনেছি। উনি আমাদের সবার হৃদয়ে আছেন।’ ইতিমধ্যেই এই পুরস্কার দেব, অঙ্কুশ হাজরা, বনি সেনগুপ্ত সহ টলিউডের একাধিক অভিনেতাই পেয়েছেন সিনেমা জগতে তাঁদের অবদানের জন্য।
এদিকে, ফেডারেশনের দেওয়া ‘শাস্তি’ অনুযায়ী আগামী তিন মাস পরিচালনার কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়। এইমুহূর্তে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর ফেডারেশনের সেই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জোর গলায় প্রশ্ন তুলেছে টলিপাড়ার প্রথম সারির পরিচালকেরা। তালিকায় রয়েছে ঋদ্ধি সেনের মতো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীও। ফেডারেশনের ওয়ার্কিং কমিটি এবং এগজিকিউটিভ কমিটির দীর্ঘ জরুরি বৈঠকে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস স্পষ্ট কথায় জানিয়ে দিয়েছেন রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনা করার উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল আপাতত তা বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবার সমস্ত গিল্ডকে নিয়ে আবারও জরুরি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজ চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সুজিত রিনো দত্ত, অনীক দত্ত, অরিন্দম শীল, রাজা চন্দের মতো জনপ্রিয় বাংলা পরিচালকেরা সমাজমাধ্যমেও ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন। সে প্রসঙ্গে স্বরূপ বিশ্বাস বলেছেন,“কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন সঠিক পথে হাঁটলে অনেকেই তাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করে। তা বলে সেই ব্যক্তি বা সংগঠন কি বিপথগামী হবে? ফেডারেশন বরাবর কিন্তু শিল্পীদের পাশে থাকে। আমিও কিন্তু নীতি প্রয়োগের ঘোর বিরোধী। কলাকুশলীরা ন্যায্য পাওনা পেলে, সকলে সঠিক পথে কাজ করলে নীতি প্রয়োগের দরকারই পড়ে না।” আর রাজ চক্রবর্তীর বক্তব্যে স্বরূপের পাল্টা মন্তব্য, “ও আমার ভাইয়ের মতো। আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি। ওঁর মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে”। নিয়মনীতির বদলানোর বিবেচনা নিয়ে স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক প্রধান। তিনি হস্তক্ষেপ করতেই পারেন। আমার আপত্তি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের অভিভাবকের মতো”।