বাজেট নিয়ে বিতর্কে উত্তাল সংসদ! ‘স্টুপিড’ কটাক্ষে বিতর্কে অভিজিৎ, ‘জো হামারা সাথ, হম উনকে সাথ’ বললেন অভিষেক
সংসদে প্রথমবার বক্তব্য রেখেই বিতর্কে জড়ালেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্দেশ্য করেন ‘স্টুপিড’ বলেন বিজেপি সাংসদ। অভিজিৎ বলেন, “নির্বোধের মতো কথা বলবেন না।”বাংলা ভাগে উস্কানি বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের। বাংলা ভাগের দাবি জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রীকে সুকান্তর প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে ওঠে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বদলে হয়েছে ‘জো হামারা সাথ, হম উনকে সাথ’। স্পষ্ট ভাষায় এভাবেই বিজেপির নীতি স্পষ্ট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃতীয় মোদি সরকারের পুর্ণাঙ্গ বাজেটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর চড়িয়ে জানালেন, শরিক দলগুলিকে তুষ্ট করতেই এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই বাজেট আসলে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা। অবিজেপি রাজ্যগুলির প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, ‘এই বাজেটে বেছে বেছে ৩টি রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তা হল তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ ও কর্নাটক।’ অভিষেকের কথায় এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, “এই তিন রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে অবিজেপি দল। তাই এই বঞ্চনা।” একইসঙ্গে ইংরেজি BUDGET শব্দের ৬টি অক্ষরের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা তুলে ধরেন অভিষেক। ইংরাজি ‘B’ শব্দটির অর্থ ‘বিট্রেয়াল’ অর্থাৎ বিশ্বাসঘাতকতা। ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আচ্ছে দিনের ১০ বছরে আজ ৪০ টাকা আলুর দাম, হাজার টাকা গ্যাসের দাম। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বিজেপির আচ্ছে দিনে।” ‘U’ অর্থে আনএমপ্লয়মেন্টকে তুলে ধরেন অভিষেক। “বিজেপির ১০ বছরে বেকারত্ব ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ৫টি প্রকল্প এবং ৪ কোটি ১০ লক্ষ যুবকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রী ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এর আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতি বছর ২ কোটি চাকরি দেওয়ার। তা পূরণ করা হয়নি। এখন অবাস্তব লক্ষ্য নিয়ে দৌড়চ্ছে এরা।” ‘D’ বলতে তিনি বোঝান ডিপ্রাইড অর্থাৎ বঞ্চিত। তাঁর দাবি, “গত ১০ বছরে দেশের নারী থেকে শিশু এই সরকারের আমলে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া সকলে শুধু বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলায় হেরে এরা ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকাও আটকে দিয়েছে। ‘G’ অর্থাৎ গ্যারেন্টি ও ঘোটালা।” ‘T’-এর ব্যাখ্যা করে অভিষেক বলেন, “টি ফর ট্র্যাজেডি। এই সরকারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা। বিরোধী দলের লোক হলেই মুখ বন্ধ করতে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”