লুনার অকাল্টেশন অব সাট্যার্ন, মাঝরাতে চাঁদের পেছনে মুখ লুকোবে শনি
আকাশে হারিয়ে যাবে শনি গ্রহ। আগামিকাল রাতে অর্থাৎ ২৪ ও ২৫ জুলাই এর মাঝের রাতে, আকাশে উজ্জ্বল তারার মত দেখতে শনি গ্রহকে ঢেকে দেবে চাঁদ। ঘণ্টাখানেক চাঁদের পেছনে লুকিয়ে থাকার পর আবারও বেড়িয়ে আসবে শনি। বলা যেতে পারে নিজেদের চলার পথে চাঁদ শনিকে ‘অভারটেক’ করবে এক্কেবারে ঘাড়ের ওপর দিয়ে। জ্যোতির্বিদরা একে বলে ‘লুনার অকাল্টেশন অব সাট্যার্ন’। সূর্য গ্রহণের সময় সূর্য যেমন চাঁদের আড়ালে ঢেকে যায় এখানেও বিষয়টা ঠিক তেমনি, পৃথিবী ও শনির মাঝে চলে আসবে চাঁদ। গোটা ভারতের সব জায়গা থেকে দেখা যাবে এই দৃশ্য। তবে স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য হবে। কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে শুরু হবে মোটামুটি রাত ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এবং শেষ হবে ২:৫০ নাগাদ।
৫ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে শেষ বার শিলিগুড়ি থেকে এই ঘটনাটি দেখা গিয়েছিল। মহাজাগতিক ঘটনাটি উত্তরবঙ্গ থেকে দেখার সুযোগ আরও তিন বার এসেছিল। ২০০১, ২০০২ এবং ২০০৭ সালে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকা ও অন্যান্য প্রাযুক্তিক কারণে তা দেখা যায়নি। এর পর আগামী অক্টোবর এবং পরবর্তীতে ২০৩৬ সালে এই ঘটনা আবারও প্রত্যক্ষ করা যেতে পারে। ঘটনাটি কৃষ্ণ দ্বিতীয়া হওয়ায়, চাঁদের উজ্বল দিক দিয়ে শনি চাঁদের পেছনে ঢুকবে, সময় লাগবে কয়েক সেকেন্ড। আবার প্রায় এক ঘণ্টা পর চাঁদের অন্ধকার দিক হঠাৎ করে আকাশে আসবে শনি। চাঁদের পেছন থেকে শনির টুপ করে বেড়িয়ে আসতেও সময় লাগবে কয়েক সেকেন্ড। সকলে বাড়ি থেকে খালি চোখেই এই ঘটনার সাক্ষী হতে পারবেন।
যে কোনও উঁচু জায়গা বা বাড়ির ছাদ, যার চার পাশে বেশি আলো নেই, এই দৃশ্য দেখার জন্যে উপযোগী। খালি চোখে শনিকে এক ছোট্ট কিন্তু উজ্জল তারার মত দেখাবে। রাতের আকাশে একে খুঁজতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। আকাশে একটাই চাঁদ, ইভেন্ট শুরুর আগে সেই চাঁদ এর ঠিক পাশেই থাকবে শনি। শনি যখন চাঁদের পেছনে ঢুকতে থাকবে এবং ঘণ্টা খানেক পরে আবার উলটো দিক দিয়ে বের হতে থাকবে, তবে সব কিছুতে জল ঢেলে দিতে পারে মেঘলা আকাশ।