কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল! বাংলাদেশ জুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
সর্বাত্মক অবরোধ’ অর্থাৎ কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি। বাংলাদেশ জুড়ে কমপ্লিট শাটডাউন। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর বিজিবি, ব়্যাব, পুলিশের হামলা, আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবি, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও কোটা সংস্কারে এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র-যুবদের কর্মসূচির জেরে কার্যত স্তব্ধ বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন শহর বৃহস্পতিবার বন্ধের চেহারা নিয়েছে। হাসপাতাল, সংবাদমাধ্যম এবং জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রায় সমস্ত বেসরকারি দফতর, দোকান, বাজার বন্ধ। বুধবার রাতে পাঠানো বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এই ঘোষণা দেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ওপর পুলিশ, বিজিবি, ব়্যাব, সোয়াটের ন্যাক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘‘কমপ্লিট শাটডাউন’’ ঘোষণা করছি। শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনও প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনও গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি আজকের কর্মসূচি সফল করুন। অভিভাবকদের বলছি,আমরা আপনাদেরই সন্তান। আমাদের পাশে দাঁড়ান, রক্ষা করুন। এই লড়াইটা শুধু ছাত্রদের না, দলমত নির্বিশেষে এদেশের আপামর জনসাধারণের।’ সংরক্ষণ বিরোধী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও আধাসেনার হামলার জেরে মৃত্যুর প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থার অবসানের দাবি তুলে বৃহস্পতিবার ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ পালন করছেন আন্দোলনকারীরা।
পুলিশ জোর করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর খালি করলে শনির আখড়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাধে সংঘর্ষ। অদূরের একটি উড়ালপুলের টোল প্লাজা এবং পুলিশ কিয়স্কে আগুন ধরানো হয়। চলে নির্বিচার ভাঙচুর, এমনকি পথচলতি যানবাহনেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সে সময়ই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগের পথে হাঁটে। কাঁদানে গ্যাস, লাঠি, সাউন্ড গ্রেনেডের পাশাপাশি ছররা গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।