তৃতীয় বার ২১ জুলাইয়ের সভা রবিবার, রাজনৈতিক জমায়েতের সফলতার অন্যতম সূচক জনতার ভোগান্তি
২১ জুলাই তৃণমূলের। সমাবেশের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না আমজনতাকে। রবিবার। সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, পাইকারি বাজার বন্ধ। ট্রেন, মেট্রো, বাস, লঞ্চে অফিসযাত্রীদের ভিড়ও থাকে না। লোকসভা ভোটে বিপুল জয়। বিধানসভার উপনির্বাচনে চারে-চার। এ বারের ‘শহিদ দিবস’-এর সভা বিজয়োৎসবে পরিণত হতে চলেছে। ২১ জুলাইয়ের খুঁটিপুজো ধর্মতলায়। ভোটে বড়সড় জয়। রেকর্ড জমায়েতের লক্ষ্যে তৃণমূল। ২০২৪ সালের ছবিটা পুরোপুরি উল্টো। বিজেপি অনেকটা কমে নেমে গিয়েছে ১২টি আসনে। তৃণমূল পৌঁছে গিয়েছে ২৯টি আসনে। ২০২৬ সালের বিধানসভার আগে শাসকদলের কাছে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’। দেশের প্রেক্ষাপটে বিজেপিকে থামতে হয়েছে ২৪০টি আসনে। তৃতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদীর ‘পরনির্ভরশীল’ সরকার।
তৃণমূলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব সংগঠনের উপর ‘নিয়ন্ত্রণ’। তৃণমূলে কর্পোরেট ধাঁচের সাংগঠনিক কাজকর্ম ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল সাফল্য পেয়েছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার ২১ জুলাইয়ের সভা হচ্ছে রবিবার ছুটির দিন। ২০১৯ সালের আগে ২০১৩ সালের ২১ জুলাইও ছিল রবিবার। মাঝে ২০২০ এবং ২০২১ সালের ২১ জুলাইয়ের সভা কোভি়ডের কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল। ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ছিল রবিবার। তৃণমূলের নেতারা পাঁচ বছর আগের ২১ জুলাইয়ের সঙ্গে এ বারের ২১ জুলাইয়ের একটি মিলও খুঁজে পাচ্ছেন। তা হল, ২০১৮ পর্যন্ত বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলের নিশানায় থাকত সিপিএম এবং কংগ্রেস। ২০১৯ সালেই প্রথম ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপিই আক্রমণের মূল লক্ষ্য। ২১ জুলাই তৃণমূলের কাছে ‘শহিদ দিবস’ পালনের পাশাপাশি বিজয় উদ্যাপনেরও। প্রতি বারের মতো এ বারও মঞ্চের খুঁটিপুজো হল সোমবার। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে মূল মঞ্চের জায়গায় খুঁটিপুজো করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, জয়প্রকাশ মজুমদারেরা। মঞ্চ বাঁধার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেল। পরিদর্শনে ছিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারাও।