রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ভোটপর্বে নির্বাচন কমিশনের সরানো পদে ফেরালেন মমতা
লোকসভা ভোট ঘোষণার পরেই নির্বাচন কমিশন রাজীবকে ডিজি পদ থেকে সরিয়ে ডিজি করেছিল আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। আবার রাজীবকে ডিজি করল নবান্ন। নির্বাচন কমিশনের করা ডিজি ছিলেন আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। সঞ্জয়কেও ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ডিজি(দমকল)পদে। লোকসভা ভোটের মাস তিনেক আগেই রাজীবকে ডিজি পদে বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিজি পদ থেকে সরে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। ভোট লোকসভা ভোট মেটার পরে ৫ জুন আদর্শ আচরণবিধি উঠে যেতেই রাজীবকে পুরনো পদে বহাল করেননি মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার মানিকতলা-সহ চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন থাকায় ১০ জুন থেকে ফের আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছিল রাজ্যের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে। সেই কারণেই রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের শীর্ষপদে রদবদল করা সম্ভব হয়নি। ১০ জুলাই ভোট মিটতেই রাজীবের প্রত্যাবর্তন ঘটল ডিজি পদে।
এদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বুধবার এই মামলার শুনানি থাকলেও, পিছিয়ে সোমবার দিন ধার্য হয়েছিল। শুনানি হলেও, অন্তর্বর্তী রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। রাজ্যের রাজ্যপালের অভিযোগ, তাঁর মানহানি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার রাজ্যপালের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা মানহানিকর, বিদ্বেষমূলক। যদিও এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী মনে করিয়ে দেন, রাজভবনের মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। তাই এটি মানহানিকর নয়, এই মন্তব্য সবার স্বার্থে। দু’ পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর এদিন শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী রায়দান স্থগিত রাখা হয়।