মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি, ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ম্যাচ, সমর্থকদের উৎসাহ কম!

ঘটি-বাঙালের লড়াই। ইলিশ-চিংড়ির যুদ্ধ। কলকাতা লিগের শতবর্ষের ডার্বি। মরশুমের প্রথম। বাঙালি কি ডার্বি বয়কট করল? শুনতে ভাল না লাগলেও, দীর্ঘদিন পর এমন চিত্র দেখা গেল। ডার্বি মানেই দুই ক্লাবের বাইরে লম্বা লাইন। যুবভারতীর বক্স অফিসের বাইরে ভিড়। ডার্বি নিয়ে উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা চোখে পড়ল না। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কলকাতা লিগের ডার্বিতে মুখোমুখি দুই প্রধান। টিকিটের হাহাকার থাকাটাই স্বাভাবিক। যা সাধারণত থাকে। এবার উন্মাদনা উধাও। অফলাইনে টিকিট বিক্রি হয়নি। দুই প্রধানের সমর্থকদের জন্য ক্লাবে কিছু সংখ্যক টিকিট পাঠিয়ে দেয় আইএফএ। বাকিটা অনলাইনে। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত মাঠ ভরার বিষয়ে আশাবাদী। যুবভারতীর বক্স অফিসে অনলাইন সেলে টিকিট রিডিম করার কাউন্টারে ভিড় নেই। টিকিট কাউন্টার ফাঁকা। কলকাতা লিগে দুই প্রধান মুখোমুখি। কিন্তু সেই উন্মাদনা একেবারেই নেই। হয়তো অফলাইনে টিকিট বিক্রি না হওয়া এর অন্যতম কারণ। শনিবাসরীয় যুবভারতী ভরবে কিনা এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
Battle ready for the #CFL derby! ⚔️#JoyEastBengal #EmamiEastBengal pic.twitter.com/NjRNbHVv7x
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) July 12, 2024
কয়েক ঘণ্টা পরেই মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। কলকাতা লিগে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। তবে এই ডার্বি নিয়ে সমর্থকদের উৎসাহ কিছুটা হলেও কম। কারণ, কলকাতা লিগের এই ডার্বিতে থাকবেন না কোনও বিদেশি ফুটবলার। দু’দলেই বেশির ভাগ ভূমিপুত্র। সিনিয়র দলের কিছু ফুটবলার থাকলেও সংখ্যায় অনেক কম। ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই মেরুতে। ইস্টবেঙ্গল যেখানে দুই ম্যাচেই জিতেছে, সেখানে মোহনবাগান দু’টিতেই ড্র করেছে। ইস্টবেঙ্গলের যেখানে দশ গোল, সেখানে মোহনবাগানের তিন। স্বাভাবিক ভাবেই লাল-হলুদ কিছুটা এগিয়ে।
https://twitter.com/mohunbagansg/status/1811449230139265355?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1811449230139265355%7Ctwgr%5E07ac82810b875569f788cdd9f15f35c72f52771f%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.anandabazar.com%2Fsports%2Ffootball%2Feast-bengal-and-mohun-bagan-set-to-face-off-in-kolkata-derby-of-cfl-2024-dgtl%2Fcid%2F1530479
ম্যাচের আগের দিন ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে ভিপি সুহের, ডেভিড লালানসাঙ্গা, দেবজিৎ মজুমদারদের মতো ফুটবলার। তিন জনকেই কলকাতা লিগের ডার্বিতে খেলানো হবে কি না, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ কোচ বিনো জর্জ। বিনো বলেছেন, “ওরা অনুশীলনে এসেছে। ডার্বির অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছে। খেলাব কি না এখনও ঠিক করিনি। ডার্বির গুরুত্ব কতটা সেটা সবাই জানে। মোহনবাগানও জানে। আমরা সে ভাবেই পরিকল্পনা করছি। ম্যাচের জন্য তৈরি। আমরা দেরিতে প্রস্তুতি শুরু করেছি। অনেকেই দেরি করে এসেছে। এখনও টিম গেম তৈরি হয়নি। এক-এক দিন ধরে ধরে উন্নতি করছে। তবে এই ম্যাচের গুরুত্ব আমরা জানি। সেই কারণেই এটাকে ডার্বি বলা হয়। এটা যুদ্ধের মতোই। দুটো দলই ম্যাচটা জিততে চাইবে। সে ভাবেই অনুশীলন করেছি।”
মোহনবাগান অনুশীলন করলেও, দলের সেট-পিস বিশেষজ্ঞ শিবাজিৎ সিংহের চোট থাকায় অনুশীলন করতে দেখা যায়নি। বাঁ পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। চোট সারিয়ে ফেরা আশিক কুরুনিয়ানকেও বাইরে বসে থাকতে দেখা যায়। কলকাতা লিগের দলের সঙ্গে অনুশীলন করছেন সিনিয়র দলের গ্লেন মার্টিন্স, আর্শ আনোয়ার। দু’জনকেই খেলানো হতে পারে ডার্বিতে। চোট সারিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ডার্বিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার তাঁর কাঁধেই। মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজ়ো জানিয়েছেন, আগের দু’টি ম্যাচে তাঁরা ড্র করলেও ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েই জয়ে ফিরতে চান।