ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড, সুপারসাব ওয়াটকিন্সের শেষ মিনিটের গোলে স্পেনের মুখোমুখি হ্যারি কেনরা
ইংল্যান্ড – ২ (হ্যারি কেন-পেনাল্টি, ওয়াটকিন্স)
নেদারল্যান্ডস – ১ (সিমন্স)
নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হ্যারি কেনরা। সুপারসাব অলি ওয়াটকিন্সের গোল পার্থক্য গড়ে দিল। ৯০+১ মিনিটে কোল পালমারের পাস থেকে কোনাকুনি শটে নিখুঁত প্লেসিং। তৃতীয়বার মেজর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইংল্যান্ড। ইউরোয় পরপর দু’বার। ২০২০ সালের পর ২০২৪ এ ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড। রবিবার বার্লিনে ট্রফির সন্ধানে নামবে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। আগেরবার ঘরের মাঠে ফাইনালে ইতালির কাছে হারতে হয়েছিল। টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ খেললেন ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের জয় পোয়েটিক জাস্টিস। প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল খেলে হ্যারি কেনরা। প্রথম সেমিফাইনালে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও বিদায় নেয় ফ্রান্স। এদিনও তারই পুনরাবৃত্তি। ম্যাচের শুরুতে জাভি সিমন্সের দুরন্ত গোলে এগিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস।
প্রথমার্ধ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডাচদের গোলটি ছাড়া বাকি সময়টা ফোডেন, বেলিংহ্যামদের। বিতর্কিত পেনাল্টি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। অলআউট ফুটবল খেলে। ইংল্যান্ডের আক্রমণের কান্ডারী ছিলেন ফিল ফোডেন। দুই দলের একটি করে শট পোস্টে লাগে। প্রথমে ডামফ্রিসের, পরে ফোডেনের। ম্যাচের ৭ মিনিটে সিমন্সের গোলে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠে রাইসের থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সের মুখ থেকে ডান পায়ের দূরপাল্লার শটে বিশ্বমানের গোল। ইংল্যান্ডের গোলকিপার পিকফোর্ডের হাত ছুঁয়ে গোলে ঢুকে যায়। রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে ১১ মিনিটের মধ্যে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১৩ মিনিটে হ্যারি কেনের শট বাঁচায় ডাচ কিপার ভারব্রুগেন। ম্যাচের ১৫ মিনিটে হ্যারি কেনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ডামফ্রিস। পেনাল্টির দাবি জানায় ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। ‘ভার’ এর সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। ম্যাচের ১৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান হ্যারি কেন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৬৬তম গোল।
ইউরোয় পরপর ছ’টি নক আউট পর্বের ম্যাচে গোল পেলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। বিতর্কিত পেনাল্টি। কারণ ইংল্যান্ডের অধিনায়কের শট ব্লক করা লক্ষ্য ছিল না ডামফ্রিসের। সমতা ফেরানোর পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে ইংল্যান্ডের ফুটবলার ফোডেন এবং বেলিংহ্যাম। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ফোডেনের শট গোললাইন থেকে ফেরত পাঠান ডামফ্রিস। দুর্দান্ত সেভ। ম্যাচের ২৯ মিনিটে কর্নার থেকে ডামফ্রিসের হেড ক্রসপিসে লাগে। বাকি অর্ধ ইংল্যান্ডের। ম্যাচের ৩২ মিনিটে ফোডেনের বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শট পোস্টে লাগে। তার ৩ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মেমফ্রিস ডিপে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচান ইংল্যান্ডের কিপার পিকফোর্ড। ভ্যান ডাইজের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপদমুক্ত করেন। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে হাফ চান্স পায় নেদারল্যান্ডস। সিমন্সের শট তালুবন্দি করেন পিকফোর্ড। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে অফসাইডের জন্য সাকার গোল বাতিল হয়। এক মিনিটের মধ্যে হ্যারি কেন এবং ফোডেনকে তুলে নেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত সাউথগেটের। অলি ওয়াটকিন্সকে নামানো তাঁর মাস্টারস্ট্রাইক। ম্যাচে জঘন্য রেফারিং ও একাধিক ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কার্ড দেখেন ডামফ্রিস, ভ্যান ডাইক, সিমন্সরা।