দীঘায় হোটেল ব্যবসায়ীর জমি দখল, অভিযোগের তীর দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দিকে
২০১১ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, দীঘাকে গোয়ার মতো করে গড়ে তুলবেনা। দীঘা গোয়া হলো কিনা তা নিয়ে রাজনীতিকরা বিতর্ক করুন। কিন্তু একথা ঠিক মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দীঘা একেবারে নতুন করে সেজে উঠেছে। দীঘার মুকুটে নতুন পলক ‘জগন্নাথ মন্দির’ অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে। এমন পরিস্থিতিতেই সামনে এলো বড় অভিযোগ। জনৈক শিল্প প্রতিষ্ঠান, দীঘায় পর্যতন ব্যবসা করবে বলে বছর পাঁচেক আগে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দরে প্রায় ৩ একর জমি কিনেছিল। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেই জমির একাংশ কে বা কারা দখল করে নিচ্ছে। নাম না করে এ ব্যাপারে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদকেই অভিযুক্ত করেছেন ওই ব্যবসায়ী সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর নিত্যহরি কুন্ডু। তিনি বলেন, “দিঘা উন্নয়ন পর্ষদকে জানিয়েও সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় আদালতে গিয়েছিলাম।”
অভিযোগ আদালতের রায়কে অগ্রাহ্য করে অবৈধভাবে এখনও ওরা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত ঘটনা শুনে স্তম্ভিত নাগরিক মহল। জানা যাচ্ছে, দীঘাতে যেখানে জগন্নাথ মন্দির হচ্ছে, তার আদূরেই তার প্রতিষ্ঠান হোটেল তৈরির পরিকল্পনা নেয়। নিত্যহরিবাবু জানান, ৮০ কোটি ব্যয়ে ১২০টি রুমের হোটেল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তাতে অন্তত ৩০০ মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। কিন্তু জমি জোর করে দখল করে নিচ্ছে দূরবৃত্তরা। প্রশাসন নীরব দর্শক।
তিনি অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর সাধের পরিকল্পনাকে এরা কালিমালিপ্ত করছে। এর সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের একাংশ যুক্ত আছে। তা নাহলে প্রকাশ্যে দিবালোকে এ কাজ করার সাহস তারা পেতো না। এখন দেখার রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা নেয়।