এক কোমর জলে ডুবেছিল ঘর, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতাময় স্মৃতি আওড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে আগে। ফুঁসছে তিস্তা। প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় বেড়েছে জলস্তর। এই পরিস্থিতিতে নবান্নতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নদীমাতৃকা বাংলায় বর্ষার রেশ বেশি বলে শুরুতেই উল্লেখ করেন। বাংলা-সিকিমের বর্ষা পরিস্থিতির উল্লেখ করেন। বর্ষায় পাহাড়ে না যাওয়ার সতর্কবার্তাও দেন। মুখ্যমন্ত্রী সতর্কবার্তার মাঝেই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন।
ফিরে গেলেন ১৯৯৯ সালে। সাংবাদিক বৈঠকে সেই সময়ের কথা তুলে ধরে মমতা বললেন, ‘আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, আমার ঘরে জল ঢুকে গিয়েছিল এক কোমর। আমার মনে আছে।‘ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি খাস কলকাতায়, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। সেখানের বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ার অর্থ, বর্ষণ হয়েছে ব্যাপক হারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এদিন বলেন, ‘ওখানে জল ঢুকলে মনে রাখতে হবে বন্যা অবধারিত।‘ এই উদাহরণে একদিকে যেমন স্মৃতিচারণ করলেন সেই সময়ের, একই সঙ্গে বোঝালেন তাঁর জমানায়, সরকার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করেছে বিস্তর, যা আগের সরকার করেনি। বলেন, ‘আগে একটু বৃষ্টি হলেই দক্ষিণ দিনাজপুরে দেখতাম বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, কুসুমন্ডি, তপন এক কোমর করে জল জমে যেত। এখন আমাদের সরকার অনেক কাজ করেছে।’
সাংবাদিক বৈঠকে বর্ষায় সতর্কতার কথা বলে তোপ দাগলেন কেন্দ্রকে। ফারাক্কা চুক্তি পুনর্নবীকরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ষা নিয়ে একগুচ্ছ নিদান দেওয়ার পাশাপাশি জানালেন তাঁর সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা-পরিকল্পনার কথা। বর্ষা এলেই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বারবার সতর্ক থেকেছে মমতা-প্রশাসন।