সরকারি জমির দখল আটকাতে সাইনবোর্ড, সিদ্ধান্ত ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের
সরকারি জমি লুট। বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। সম্প্রতি নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পরেই রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সচিবের দায়িত্বে বিবেক কুমার। তাঁর নেতৃত্বে বিএলআরও-সহ দফতরের প্রায় ৫০০ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সচিব জবরদখলকারীদের হাত থেকে সরকারি জমি রক্ষার পাশাপাশি রাজস্ব ফাঁকি আটকানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকে সিদ্ধান্ত, এ বার থেকে সব সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগানো হবে। সংশ্লিষ্ট জমির মালিক রাজ্য সরকার।
ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতেই হবে সর্ব স্তরের আধিকারিকদের। অবিলম্বে সমস্ত সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাভিত্তিক নজরদারি করবেন জেলাশাসক। ব্লকভিত্তিক এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক বিএলআরওকে। মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর, সমস্ত সরকারি জমির হিসাব নিজেদের হাতের কাছে রাখতে চাইছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই দফতর নিজের হাতে রেখেছেন। তিনি কোনও তথ্য পরিসংখ্যান দফতরের কাছে চাইলে দ্রুত যাতে তাঁর কাছে সেই তথ্য পরিসংখ্যান পেশ করা যায়, সে জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চান দফতরের আধিকারিকেরা। প্রাথমিক ভাবে সরকারি জমি দখল রুখতে সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করতে চাইছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।
সরকারি জমি দখল। হাওড়ায় তেমনই সরকারি জমিতে আস্ত কারখানার খোঁজ! বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, লিজ নেওয়ার আবেদন দীর্ঘ দিন ধরে দফতরের কাছে পড়ে থাকছে। রাজ্য সরকার প্রত্যাশামাফিক রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের থেকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে লিজ সংক্রান্ত আবেদনপত্রগুলি আর ফেলে রাখা যাবে না বলেই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দফতরের আধিকারিকদের। কোনও ভাবেই সরকারি জমি যাতে বেহাত না হয়ে যায়, পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের।