October 4, 2024

ইউরো থেকে রোনাল্ডোর বিদায়, টাইব্রেকারে পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ চারে ফ্রান্স

0

ফ্রান্স – ৫ (০) পর্তুগাল – ৩ (০)

স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি সেভের হ্যাটট্রিকে পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন দিয়েগো কোস্তা। এদিন আর তাঁর গ্লাভস বাঁচাতে পারেনি রোনাল্ডোদের। হ্যামবার্গে টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স। চোখের জলে বিদায় হল রোনাল্ডো, পেপের। গ্যালারিতে বসে চোখ ভেজালেন লুই ফিগো। টাইব্রেকারে পাঁচে পাঁচ। একশো শতাংশ সাফল্য দিদিয়ের দেশঁর দলের। ফ্রান্সের গোলদাতা ডেম্বেলে, ফোফানা, কুন্ডে, বার্কোলা এবং থিও হার্নান্দেজ। পর্তুগালের হয়ে গোল করেন রোনাল্ডো, বার্নার্ডো সিলভা, নুনো মেন্ডিস। মিস করেন পর্তুগালের জোয়াও ফেলিক্সের শট পোস্টে লাগে। নব্বই মিনিটের শেষে গোলশূন্য। ১২০ মিনিটের শেষেও স্কোরলাইনে কোনও পরিবর্তন নেই। শেষমেষ টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি ফ্রান্স। পর্তুগালের বিদায়ে ইউরোয় রোনাল্ডো যুগের অবসান হল। শেষবারের মতো মাঠ ছাড়লেন পর্তুগিজ তারকা। স্পেন-জার্মানির পর আরও একটি কোয়ার্টার ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে দুই ম্যাচের টেম্পোর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। শুক্র রাতের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল যতটা উপভোগ্য এবং গতিময়, ফ্রান্স-পর্তুগাল ম্যাচ ঠিক ততটাই ম্যাড়ম্যাড়ে। গোটা ম্যাচে হাতেগোনা সুযোগ। তারমধ্যে নিশ্চিত সুযোগ বলতে দুই থেকে তিনটি। ম্লান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এবার মেনে নিতেই হবে যে সিআরসেভেনের জমানার অবসান হতে চলেছে। অন্যদিকে কিলিয়ান‌ এমবাপেও সেইভাবে নজর কাড়তে পারেনি। নব্বই মিনিটের শেষে গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে নিজের আর্মব্যান্ড খুলে দেশঁর হাতে ধরিয়ে দেন এমবাপে‌। তারকা ফুটবলার বুঝিয়ে দেন আর খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। পর্তুগালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে মুখের ডানদিকে বল লাগে ফ্রান্সের অধিনায়কের। নাক ধরে বেশ কিছুক্ষণ মাঠেই শুয়ে থাকেন। এদিন ১০৫ মিনিটের ফুটবল খেলার পরই বেঞ্চে বসে নাকে আইস প্যাক লাগাতে দেখা যায় তাঁকে।

তুরস্কের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয় পর্তুগালের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জর্জিয়ার কাছে হারে রোনাল্ডোরা‌‌। ফ্রান্স শেষ আটে উঠলেও এখনও পর্যন্ত ছন্দে নেই। বিশ্বকাপের রানার্সদের অ্যাটাকিং বিভাগ দুর্বল দেখিয়েছে। গোলের খাতা খুলতে পারেনি দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং কিলিয়ান এমবাপে। বাঁ প্রান্ত ধরে বিপক্ষের বক্সে বেশ কয়েকবার ঢুকে পড়েন রাফায়েল লিও। কিন্তু সেই অর্থে গোলমুখ খুলতে পারেনি। রোনাল্ডোকে সামনে রেখে দল সাজান মার্টিনেজ। বয়সের সঙ্গে ক্ষিপ্রতা কমেছে সিআরসেভেনের। অফকালার পর্তুগিজ অধিনায়ক। গতি বাড়িয়ে বার দুয়েক বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়লেও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেনি। ম্যাচের ২০ মিনিটে গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট ফ্রান্সের। থিও হার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট বাঁচায় কোস্তা। তার দু’মিনিটের মধ্যে গতি বাড়িয়ে বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। বিপদ সৃষ্টি করতে পারেননি। থুরামের পরিবর্তে কোলো মুয়ানিকে প্রথম একাদশে রাখেন দিদিয়ের দেশঁ। রাখেননি ডেম্বেলেকেও। পর্তুগালের হাফ চান্স ৩০ মিনিটে লিওর শট সরাসরি তালুবন্দি করেন ফ্রান্সের কিপার।

ম্যাচের ৬২ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট বাঁচায় ফরাসি কিপার। দারুণ সেভ মাইগনানের। ৬৪ মিনিটে ভিটিনহার শট বাঁচান ফ্রান্সের কিপার। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া সুযোগ নষ্ট ফ্রান্সেরও। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে কোলো মুয়ানির নিশ্চিত গোল বাঁচান কোস্তা‌‌। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার মিস। ৭১ মিনিটে সিটার নষ্ট করেন কোলো মুয়ানি‌। সামনে একা পর্তুগালের কিপার কোস্তাকে পেয়েও বাইরে মারেন। নিজেদের সেরার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি ফ্রান্স এবং পর্তুগাল। শেষ মিনিটে এমবাপের নির্বিষ শট তালুবন্দি করেন কোস্তা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে সুযোগ ছিল পর্তুগালের সামনে। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে কনসেসাওয়ের পাস থেকে মিস রোনাল্ডোর। একা ফরাসি গোলকিপার মাইগনানকে পেয়েও বক্সের ওপর দিয়ে ভাসিয়ে দেন।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed