প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে রোহিতরা, কাটা হল কেক, ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস সমর্থকদের
১৬ ঘন্টায় ১৩৪৫৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দেশে ফিরেছেন দিল্লির হোটেলের তরফে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল কেক। রোহিত একাই এসে বাঁ হাতে কেক কেটে বেরিয়ে গেলেন। হোটেলে রোহিতদের জন্য বিশেষ কেক। তা কেটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রোহিতেরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত রোহিত শর্মাদের। ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরল টিম ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার ভোর ৬.০৫ মিনিট নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে দিল্লি নামলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। হারিকেন বেরিল এর জন্য কাপ জিতেও বার্বাডোজে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন রোহিতরা। কারণ বার্বাডোজে বিমান চলাচল ছিল বন্ধ। অবশেষে বুধবার দুপুরে টিম ইন্ডিয়া ওখান থেকে রওনা দেয়। আর বৃহস্পতিবার ভোরে দিল্লি। সকাল সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরের বাইরে আসে রোহিত অ্যান্ড কোং। একে একে টিম বাসে উঠে পড়েন ক্রিকেটাররা। রোহিতের হাতে ছিল ট্রফি। এদিন রাত তিনটে থেকে বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছিলেন সমর্থকরা। ক্রিকেটারদের দেখতে পেয়েই জয়ধ্বনি দেন।
‘মাটি খেতে কেমন লাগে?’ মোদীর প্রশ্ন রোহিতকে। কোহলিদেরও জিজ্ঞাসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।বিশ্বকাপ জিতে বৃহস্পতি ভোরে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে যান ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর কিছু প্রশ্ন করেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের। আলাপচারিতা এবং প্রাতরাশ চলেছে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। ফাইনালে জেতার পর বার্বাডোজ়ের পিচের মাটি খেতে দেখা গিয়েছিল রোহিতকে। অধিনায়ককে মোদী প্রশ্ন করেন, মাটি খেতে কেমন লাগে?
গোটা প্রতিযোগিতায় সে ভাবে রান না পেলেও ফাইনালে ভাল খেলেছিলেন কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটারকে মোদী প্রশ্ন করেন, বড় ম্যাচের আগে কী ধরনের ভাবনাচিন্তা নিয়ে মাঠে নামেন। অক্ষর পটেলকে প্রশ্ন করা হয়, ফাইনালে কঠিন সময়ে যখন তাঁকে উপরের দিকে ব্যাট করতে নামানো হয়েছিল, তখন কী ভাবছিলেন তিনি? মোদী বুমরাকে প্রশ্ন করেন, সেই পরিস্থিতিতে বুমরার মাথায় কী ঘুরছিল। হার্দিক পাণ্ডিয়াকে তাঁর সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। পাশাপাশি কী ভাবে শেষ ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে বল করেছিলেন তা-ও জানতে চান মোদী। রোহিত, বিরাটদের সব শট জানেন মোদী!
সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ টিম হোটেল আইটিসি মৌর্যতে পৌঁছন রোহিতরা। সেখানে ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি। দিল্লির হোটেলে ছিলেন বিরাট কোহলির পরিবারের সদস্যরাও। দিল্লির হোটেলের বাইরেও ছিল অসংখ্য সমর্থকের ভিড়। সেখানেও ভারতীয় দলের জন্য ওঠে জয়ধ্বনি। বিশ্বজয়ীদের স্বাগত জানাতে মেগা আয়োজন করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। কাটা হয় কেক। এদিকে, হোটেলের সামনে নাচতে দেখা যায় সূর্যকুমার যাদবদের।
ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা থেকে ক্রিকেটারদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাতরাশ। তারপর মুম্বইয়ের রোহিতরা। সেখানে হবে বিশ্বজয়ের উৎসব। ছাদ খোলা বাসে করে ঘুরবেন রোহিতেরা।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে শহরের বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গা, যেমন নারিম্যান পয়েন্ট, মেরিন ড্রাইভের পথ ধরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছাবে বাস। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দেওয়া হবে সংবর্ধনা।