জয় শাহ- রাজীব শুক্লা প্রচারের আলোর সামনে!বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে ভিকট্রি প্যারেড, বিশ্বজয়ী বিন্নী পিছনের সারিতে
বিন্নীর আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে হাতের মুঠোয় রাখতে পারেনি জয় শাহদের হম্বিতম্বি। তাই হয়তো সরতে হয়েছিল বোর্ড সভাপতির পদ থেকে, একথা জানে ভারতীয় ক্রিকেট। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব। জয় শাহ, রাজীব শুক্লদের উপস্থিতি এক্কেবারে সম্মুখে। পিছনের সারিতে রজার বিন্নী একান্তে দাঁড়িয়ে। মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভে টিম ইন্ডিয়ার ভিকট্রি প্যারেড হচ্ছে, হুড খোলা বাসে ক্ষমতার আস্ফালন। ভারতীয় দল ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। বাসে ছিলেন সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা, এক সময় রাজ্যসভার সদস্য। ক্রিকেটের সঙ্গে জয় এবং রাজীব যুক্ত শুধুই প্রশাসক হিসাবে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাসে বিন্নী। তবে অন্তরালে। ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। ক্রিকেটীয় ক্ষেত্রে বিন্নী তাঁর সহকর্মী জয় এবং রাজীবের থেকে কয়েক গুণ এগিয়ে। পদেও বাকি দু’জনের থেকে উঁচুতে বিন্নী। বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে বাসের পিছনে দাঁড়িয়ে বিন্নী। রোহিত, বিরাট, হার্দিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্বকাপ নিয়ে মেতে উঠেছেন জয় এবং রাজীব। কখনও বিশ্বকাপ ধরছেন, কখনও সমর্থকদের উৎসাহ দিচ্ছেন। ক্রিকেটারদের ধারেকাছেও নেই বিন্নীর অবস্থান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন বিন্নী, জয়রা। সেখানেও ভারত অধিনায়ক রোহিতের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন সচিব জয়। সেখানেও প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। পদে সবচেয়ে বড় হয়েও পিছনেই বিন্নী। বিন্নীর আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। সৌরভ ভারতকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন। দেশের বাইরে ভারতকে জিততে শিখিয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু তাঁর বিশ্বকাপ নেই। বিন্নীর ক্যাবিনেটে সেই ট্রফি থাকা সত্ত্বেও জয়, রাজীবদের পিছনেই রইলেন কপিল দেবের সতীর্থ।