পেনাল্টি মিস রোনাল্ডোর, ইউরোর কোয়ার্টারে পর্তুগাল, আত্মঘাতী গোলে হার বেলজিয়ামের, শেষ আটে চলে গেল ফ্রান্স
পর্তুগাল ০ স্লোভেনিয়া ০
(টাইব্রেকারে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী পর্তুগাল)
ফুটবলবিশ্বের লৌহমানব রোনাল্ডো কাঁদছেন। পেনাল্টি মিস করার যন্ত্রণা। গ্যালারিতে তাঁর মায়ের চোখে জল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাসি ফুটল। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল। টাইব্রেকারে পরিত্রাতা হয়ে উঠলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কোস্তা। পেনাল্টি শুট আউট সেভের হ্যাটট্রিকে ম্যাচ জিতলেন রোনাল্ডোরা।গ্রুপ পর্বে রোলারকোস্টার রাইড ছিল পর্তুগালের চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে জয়। তুরস্কের সঙ্গে অনবদ্য ফুটবল। শেষ ম্যাচে হারতে হয়েছিল দুর্বল জর্জিয়ার বিরুদ্ধে। রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করলেও, রবার্তো মার্তিনেজের দলের ইউরো ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল, এমনকি রোনাল্ডোর ফর্ম নিয়েও। গ্রুপ স্টেজে গোলের মুখ দেখেননি ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইয়ান ওব্লাকদের স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে শুধু নিজের গোল নয়। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আরও একবার ইউরো ছুঁয়ে দেখা। প্রথম স্বপ্নটা পূর্ণ হল না। পর্তুগালের জয় স্লোভেনিয়াকে হারিয়ে ইউরোর দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
বেলজিয়ামকে হারিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল ফ্রান্স। বিশ্বকাপ, ইউরোর মতো মেগাইভেন্টে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের জয়ের ধারা অব্যাহত। ফরাসি শিবিরকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। আত্মঘাতী গোল। কলো মুয়ানির শট বেলজিয়ামের ভারতোঙ্গার শরীরে লেগে গোল হয়। ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে গেল ঠিকই তবে ওপেন প্লে থেকে এখনও গোল করতে পারেনি দেশঁর ফ্রান্স! দুটি আত্মঘাতী গোল এবং পেনাল্টি থেকে একটি গোল করে ফ্রান্স।
যা ফরাসি শিবিরের সমর্থকদের বিস্মিত করছে। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স প্রাধান্য দেখালেও কাঙ্খিত গোলটি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এমবাপেদের আক্রমণে সেই কামড়, ভেদ্যতা ছিল না। ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে গোল করার সুযোগ বেশি পাওয়া যায় না। বেলজিয়াম কিন্তু দুবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। লুকাকু ও কেভিন দে ব্রুইন সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি।