October 4, 2024

আক্রমণ ইন্ডিয়া জোটের, সংসদের ভিতরে বাইরে বিক্ষোভ

0

সভা শুরুর আগে মকর দ্বারের সামনে বিক্ষোভ করে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আপের মতো বিরোধী দলগুলি। বাংলা, ঝাড়খণ্ড, দিল্লিতে মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ জানান ইন্ডিয়ার নেতারা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করল ইন্ডিয়া জোট। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বিজেপি। গ্রেপ্তার হওয়া বিরোধী নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। তেজস্বী যাদব, হেমন্ত সোরেন, আপ আদমি পার্টি, তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয় ইন্ডিয়া জোট। বিক্ষোভে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ ব্যানার্জি বলেন, ‘‌সব নেতাকেই যে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে, সেটা নয়। সারা দেশে যে তাণ্ডবলীলা হচ্ছে, নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে তার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছে বিজেপি।’‌ তবে এদিন নিট নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয় সম্মিলিত বিরোধীদের তরফে। যদিও স্পিকার তা খারিজ করে দেওয়ায় ওয়াকআউট করে ইন্ডিয়া শিবির। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপনে যোগ দেয় বিরোধীরা। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় ধন্যবাদজ্ঞাপন আলোচনায় বিরোধীরা বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়। লোকসভায় মহুয়া মৈত্র বলেন, তাঁর কণ্ঠস্বর রোধ করার কারণে ৬৩ জন বিজেপি সাংসদ পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনের প্রচারে বারাসত, কৃষ্ণনগর এবং আরামবাগে প্রচার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই তিন জায়গাতেই পরাজিত হয়েছে বিজেপি। সেই বক্তব্যই এদিন তুলে ধরেন মহুয়া মৈত্র। এমনকী, যে এথিক্স কমিটি তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করেছিল, তার চেয়ারম্যানও পরাজিত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতিকে অভিভাষণের জন্য পুরনো বক্তব্য পড়তে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কারণ, মহুয়ার অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি বলেছেন সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। যদিও নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থনে টিকে রয়েছে এনডিএ সরকার। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে মঙ্গলসূত্র, মুজরা, মাটন, মোঘল মাছ শব্দের ব্যবরহার করা হলেও কেন মণিপুর শব্দের ব্যবহার করা হল না সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মহুয়ার অভিযোগ, মনরেগা, আবাস, গ্রামীণ সড়ক যোজনা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া আটকে রেখে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার সিএজি রিপোর্ট তুলে ধরে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকে দুর্নীতির অভিযোগ করে বলেন, ‘‌আমরা জরুরি অবস্থার কথা বলছি বারবার। যদিও একটি সংগঠনকে তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন। তার কথা বলছি না।’‌ কোনও আলোচনা ছাড়াই তিন ক্রিমিনাল আইন চালু করার বিরোধিতা করে এই আইনকে দমনমূলক বলে মন্তব্য করেন জহর সরকার। ঘৃণা ছড়ানোর বিধানের উল্লেখ করে জহর সরকার বলেছেন, একজন ব্যক্তি মঙ্গলসূত্রের কথা বলেছিলেন। মহুয়া মৈত্র এবং জহর সরকার দু’‌জনেই কবচ এবং রেল সুরক্ষার প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, যেখানে সাধারণ ট্রেনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার, সেখানে বুলেট ট্রেনের কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রসঙ্গ তুলে জহর সরকার বলেন, ‘‌যখন আগে বৃষ্টি হত, তখন ছাদ ভেঙে পড়ত। এবার ছাদ ভেঙে পড়ছে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে।’‌

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed