মা চলে যাওয়ার পরে ঘুম ভেঙেছিল! এটা কোন পৃথিবী? এখানে আমাকে সবটা একা করতে হবে
সম্প্রতি স্বস্তিকার সুইমস্যুট অর্থাৎ সাঁতারের পোশাক পরা একটি ছবি নিয়ে তোলপাড় হয় সমাজমাধ্যম। কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। মেয়েকে বড় করে নিজের সঞ্চয় দিয়ে মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠানো। স্বস্তিকা ও তাঁর মেয়ে অন্বেষাকে একসঙ্গে মানুষ করেছেন স্বস্তিকার মা, গোপা মুখোপাধ্যায়। মায়ের মৃত্যুর পরে ‘সিঙ্গল মাদার’ স্বস্তিকার কথায়, “মা চলে যাওয়ার পরে ঘুম ভেঙেছিল, এটা কোন পৃথিবী? এখানে আমাকে সবটা একা করতে হবে।” সময় জীবনে চলার পথ দেখিয়ে দেয়, এমনই মনে করেন অভিনেত্রী। আগামী দিনে কী হবে তা ভেবে বিচলিত হয়ে পড়ে মানুষ। বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল কঠোর বাস্তব। “বাবা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ল, চিকিৎসক বলেছিল বেশি সময় নেই। আমি ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলাম, বাবা চলে যাওয়ার পরে কী হবে। কী ভাবে একা থাকব? কিন্তু ঘটনাটি যখন ঘটে গেল, তখন দেখলাম অভ্যাসগুলো বদলে যাচ্ছে।” উপলব্ধি স্বস্তিকার।
সমাজের চোখে স্বস্তিকা নাকি অপদার্থ মা! নিজেকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী। একজন মায়ের কী কী করা উচিত তা নিয়ে সমাজের নানা অলিখিত ফতোয়া রয়েছে। “ভাল মা হওয়ার ধারণা, তাঁর চুল লম্বা হবে। ভাল মা মানে মদ-সিগারেট খাবে না। হাতকাটা ব্লাউজ পরে না। তারা হয়তো সাঁতার কাটতে গিয়ে সাঁতারের পোশাকও পরে না। জানি না কী পরে তারা! রাতপোশাকের উপর গামছা নিয়ে তো আর সাঁতার কাটতে পারবে না!” স্বস্তিকা জানালেন, সমাজের বারণ তাঁর কাছে কখনও বারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। তাঁর মা-বাবাও কোনও দিন তাঁকে বলেননি যে, সমাজের এই সব বারণ তাঁকে মেনে চলতে হবে। স্বস্তিকার কথায়, “আমার মেয়ে জামা কেনার সময় আমাকে ছবি পাঠায়। আমি বলি এটা ভাল, ওটা খারাপ। কখনও বলি, এই জামাটা কিনছ ঠিক আছে, কিন্তু ভারতে এই জামা পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে না তুমি। আমার মেয়ে তো! আমি যদিও বা কিছু বিষয় নিয়ে ভাবি, ও তো লোকজনের খারাপ মন্তব্য নিয়ে একেবারেই ভাবে না।