January 17, 2025

১৩ বছর প্রতীক্ষার অবসান!‌বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত, অ্যক্সর হার্দিকের বিরাট হাত ধরে রোহিতেরাই সেরা

0
World Champ

১২ মাসে তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলল ভারত। টেস্ট, এক দিনের ক্রিকেটের লড়াইয়ে হারলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বজয় রোহিতদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চোকার্সই থেকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩ বছর পর আবার বিশ্বজয়ী ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারালেন রোহিত শর্মারা। প্রথমে ব্যাট করে ভারত করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান। জবাবে প্রোটিয়াদের ইনিংস শেষ হল ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলের এক দিনের বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বসেরা রোহিতের ভারত। হার্দিক পাণ্ডিয়ার হাত ধরে হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন রোহিতেরা। বাউন্ডারি লাইনে ডেভিড মিলারের ক্যাচ দুর্দান্ত ভাবে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারের দরজা দেখিয়ে দেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ তিন ওভারে ম্যাচের রং বদলে গেল। রোহিতদের হার না মানা মানসিকতার সামনে স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকার।

আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেছিলেন কোহলি। আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেন অক্ষর। শেষ পর্যন্ত অবিবেচকের মতো রান আউট হলেন সময় থাকতেও ক্রিজ়ে ফেরার চেষ্টা না করে। ভুলের মাসুল দিয়ে অর্ধশতরান হাত ছাড়া করলেন অক্ষর। ৩১ বলে ৪৭ রান করলেন ১টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে। উইকেটের অন্য দিক আগলে রেখেছিলেন কোহলি। গোটা প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ শিবম দুবে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন ফাইনালে। ২২ গজে সঙ্গ দিলেন কোহলিকে। প্রতিযোগিতার প্রথম অর্ধশতরান করলেন কোহলি। আউট হলেন ৫৯ বলে ৭৬ রান করে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা। শিবম করলেন ১৬ বলে ২৭। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। কোহলি-শিবম জুটির ৭২ রানের শেষে হার্দিক অপরাজিত থাকেন ৫ রান করে। জাডেজা আউট হন ২ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার কেশব মহারাজ ২৩ রানে ২ উইকেট নিলেন। বল করতে এসে প্রথম ওভারেই রোহিত এবং পন্থকে আউট করে তিনি চাপে ফেলে দেন ভারতকে। ২৬ রানে ২ উইকেট অনরিখ নোখিয়া। ৩৬ রানে ১ উইকেট কাগিসো রাবাডার। মার্কো জানসেন ১ উইকেট নিলেন ৪৯ রান খরচ করে।

জয়ের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাও। রেজজা হেনড্রিকসকে ৪ রানে আউট করেন যশপ্রীত বুমরা। এডেন মার্করামকে ৪ রানে ফেরান আরশদীপ সিংহ। ১২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের ইনিংসের হাল ধরেন কুইন্টন ডিকক এবং ট্রিস্টান স্টাবস। তৃতীয় উইকেট তাঁদের জুটির সাবলীল ব্যাটিং কিছুটা চাপে ফেলে দেয় রোহিতদের। তাঁদের জুটি ভাঙেন অক্ষর। স্টাবস আউট হন ২১ বলে ৩১ রান করে। মারলেন ৩টি চার এবং ১টি ছয়। তাঁর পর ডিককের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হেনরিক ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তোলার গতি আটকাতে পারেননি ভারতীয় বোলারেরা। ডিকককে আউট করেন আরশদীপ। তাঁর ৩১ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে রয়েছে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। ক্লাসেনের আগ্রাসী ব্যাটিং ভারতকে চাপে রাখে। শেষ পর্যন্ত হার্দিক তাঁকে আউট করলে আবার লড়াইয়ে ফেরে ভারত। ক্লাসেন করেন ২৭ বলে ৫২ রান। জানসেন, ডেভিড মিলার এবং মহারাজ বুমরা, আরশদীপদের বল সামলাতে পারলেন না। ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে সূর্যকুমারের হাতে ধরা পড়েন মরিয়া মিলার। এই উইকেটই ভারতের জয় এর রকম নিশ্চিত করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে শেষ প্রোটিয়ারা। ভারতের সফলতম বোলার হার্দিক ২০ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ১৮ রানে ২ উইকেট বুমরার। ২০ রানে ২ উইকেট আরশদীপের। ৪৯ রানে ১ উইকেট অক্ষরের। ফাইনালে ৪৫ রান খরচ করে উইকেট পাননি কুলদীপ যাদব।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed