January 13, 2025

ইউরোয় প্রথম গোল এমবাপেরপোল্যান্ডের সঙ্গে ড্র, শেষ ষোলোর ফ্রান্স

0
12313131

ফ্রান্স – ১ (এমবাপে-পেনাল্টি)
পোল্যান্ড – ১ (লেওয়ানডস্কি-পেনাল্টি)

নেদারল্যান্ডস ২ (‌কডি গাকপো,মেম্ফিস ডেপায়)‌‌
অস্ট্রিয়া ৩(‌ডনিয়েল মালেন, মার্সেল সাবিৎজার, রোমানো স্মিড)‌

এমবাপেই পেনাল্টি থেকে গোল করলেন। ইউরোয় নিজের প্রথম গোল করলেন তিনি। নাকে চোট পাওয়ায় ফেস গার্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন এমবাপে। গোল করার আনন্দে সেই ফেস গার্ড খুলে ফেললেন। পোল্যান্ডের সঙ্গে ড্রয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ইউরোর শেষ ষোলোয় চলে গেল ফ্রান্স। গ্রুপ ডি থেকে একনম্বর দল হিসেবে প্রি-কোয়ার্টারে অস্ট্রিয়া। এদিন ডাচদের ৩-২ গোলে হারিয়ে ইউরোয় অঘটন ঘটায় অস্ট্রিয়া। চার পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেদারল্যান্ডস।‌ বেস্ট অফ থ্রি হিসেবে এখনও পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ডাচদের। মঙ্গলবার ডর্টমুন্ডে ১-১ গোলে ড্র হয় ফ্রান্স-পোল্যান্ড ম্যাচ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরও কোনও দলই ফিল্ড গোল করতে পারেনি। দুটো গোলই পেনাল্টি থেকে। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা কিলিয়ান এমবাপের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকেই সমতা ফেরায় পোল্যান্ড। এদিন হারলেই ইউরো থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই শুরু থেকেই মাস্ক পরে নামিয়ে দেওয়া হয় এমবাপেকে। খেলেন শেষ পর্যন্ত। কিন্তু একাধিক গোল মিস করেন। হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন ফ্রান্সের অধিনায়ক। কিন্তু বিশ্বকাপের ছন্দে নেই এমবাপে। ফ্রান্সের প্রথম ম্যাচের দিনই সেটা বোঝা গিয়েছিল। তবে ইউরোয় গোলের খাতা খুললেন। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে এল তাঁর প্রথম গোল। ২০২০ ইউরোতে খেললেও প্রথম চার ম্যাচে গোল পাননি। প্রি-কোয়ার্টার থেকে ছিটকে যায় ফ্রান্স। কিউয়িওরকে বক্সের মধ্যে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। ৫৬ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। তবে এই একটি মুহূর্ত ছাড়া পোল্যান্ডের গোলকিপার স্কোরাপস্কির সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথে, বিজয়ী পোলিশ কিপার। একাধিকবার ফরাসি তারকাকে গোলমুখ থেকে ফেরত পাঠান স্কোরাপস্কি। নয়তো অনায়াসেই ম্যাচটা জিততে পারত ফ্রান্স। ডেম্বেলেও সহজ সুযোগ মিস করেন। অন্যদিকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেন লেওয়ানডস্কি। কিন্তু লাভ হয়নি। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে সুইডারস্কিকে বক্সের মধ্যে উপামেকানো ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। প্রথমে তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন মাইক মাইগনান। কিন্তু লেওয়ানডস্কি শট নেওয়ার সময় লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসে ফরাসি কিপার। আবার পেনাল্টি নেওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। একই ভঙ্গিমায় দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ১-১ করেন পোল্যান্ডের তারকা ফুটবলার। ম্যাচের শেষদিকে ফ্রান্স কয়েকটা সুযোগ পেলেও সেটা স্কোরলাইন বদলায়নি।

গ্রুপের অন্য খেলায় চমক অস্ট্রিয়ার। নেদারল্যান্ডসকে ৩-২ গোলে হারাল। ৬ মিনিটের মাথায় বল বার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন নেদারল্যান্ডসের ডনিয়েল মালেন। এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। চলতি ইউরোয় আরও একটি আত্মঘাতী গোল হল। প্রথমার্ধে মাঝমাঠের দখল বেশি ছিল অস্ট্রিয়ার। ফলে প্রথমার্ধে সমতা ফেরাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডাচদের হয়ে সমতা ফেরান কডি গাকপো। ৫৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। এ বার গোল করেন রোমানো স্মিড। তাঁর হেড বার করতে পারেননি নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্ডার। পিছিয়ে পড়ে ওপেন ফুটবল খেলা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। ফলে দুই দলই সুযোগ তৈরি করতে থাকে। ৭৫ মিনিটে উইঘর্স্টের হেড থেকে গোল করে আবার সমতা ফেরান মেম্ফিস ডেপায়। ৫ মিনিট পরে আবার এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। এ বার গোল করেন মার্সেল সাবিৎজ়ার। পরে অস্ট্রিয়ার আরও একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রিয়া। ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসের মতো দল থাকা গ্রুপের শীর্ষে শেষ করে অস্ট্রিয়া।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed