প্রিয়াংশুর ব্যাটে সেমিফাইনালে লক্ষ্মীরতনের ছেলেরাআম্পায়রদের অশ্রাব্য গালিগালাজ মন্ত্রী ক্রিকেটারের! টানা ৭ ম্যাচে হার হারবার ডায়মন্ডসের
হারবার ডায়মন্ডস: ১৬৯/৬ (শুভম ৫১, প্রয়াস ৩৮, বিবেক সিং ১৫/১)
রশ্মি মেদিনীপুর উইজার্ডস: ১৭২/২ (প্রিয়াংশু ৮৮, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৫৮, কাইফ ৩১/১)
৮ উইকেটে জয়ী রশ্মি মেদিনীপুর উইজার্ডস
সাত ম্যাচ খেলে সাতটি ম্যাচেই হার হারবার ডায়মন্ডসের। বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টির লিগ পর্যায়ের ম্যাচ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু নিজেদের ৭ ম্যাচে একটিও জয় পায়নি মনোজ তিওয়ারির দল। আবারও হারলেন রশ্মি মেদিনীপুর উইজার্ডসের কাছে। ৮ উইকেটে জিতে লিগের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে অফে উঠে গেল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের দল। ইডেন গার্ডেন্সে হারবার ডায়মন্ডকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় মেদিনীপুর উইজার্ডস। তারকা ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা অবশ্য ব্যাট হাতে নজর কাড়তে ব্যর্থ। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান করে হারবার ডায়মন্ড। ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি ১৫ বলে ১৫ রানে ফেরেন। তবে শুভম সরকারের ২৮ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে বড় স্কোর গড়ে হারবার ডায়মন্ড।
উদ্বোধনী বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ দ্বিতীয় সেমিফাইনালিস্ট পেয়ে গেল। প্রথম দল হিসেবে গত কাল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল স্ম্যাশার্স মালদা। বাংলার কিংদন্তি মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বাধীন হারবার ডায়মন্ডকে হারিয়ে শেষ চারে গিয়েছিল মালদা। ইডেন গার্ডেন্সে মনোজদের হারিয়েই সেমিফাইনালে উঠল ঋদ্ধিমানের টিম রাশমি মেদিনীপুর উইজার্ডস। টানা সাতটি হারে বিপর্যস্ত হারবার ডায়মন্ডস। সেমিফাইনালের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল। সম্মানরক্ষার ম্যাচেও জয়ে ফেরা হল না। ইডেন গার্ডেন্সে হারবার ডায়মন্ডকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় মেদিনীপুর উইজার্ডস। তারকা ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা অবশ্য ব্যাট হাতে নজর কাড়তে ব্যর্থ। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান করে হারবার ডায়মন্ড। ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি ১৫ বলে ১৫ রানে ফেরেন। তবে শুভম সরকারের ২৮ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে বড় স্কোর গড়ে হারবার ডায়মন্ড। ইডেনে এটি যথেষ্ঠ কঠিন টার্গেট। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ রানেই ফেরেন ঋদ্ধিমান। বিবেক সিং ৯ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। এরপরই প্রিয়াংশু শ্রীবাস্তব ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ১৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। মাত্র ১৭.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মেদিনীপুর উইজার্ডস। প্রিয়াংশু শ্রীবাস্তব ৫৭ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছয়। অন্য দিকে, ক্যাপ্টেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৩৭ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। পাঁচটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি মারেন সুদীপ।
বিপিএল যত গড়িয়েছে, তত রানসংখ্যা বেড়েছে। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে হারবার ডায়মন্ডসের রান ছিল ১৬৯। মনোজ আর অভিজিৎ ভগত দুজনেই ১৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন। সেখান থেকে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান প্রয়াস বর্মণ ও শুভম সরকার। শশাঙ্ক সিং এদিন মাত্র ১০ রান করে থেমে যান। শুভমের দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি তাদের এগিয়ে দেয়। শেষের দিকে যোগ্য সঙ্গ দেন বাদল সিং। একটি করে উইকেট নেন মেদিনীপুরের দীপক কুমার, অনুভব ত্যাগী, কৌশিক মাইতিরা। জবাবে ব্যাট হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন প্রিয়াংশু শ্রীবাস্তব। ৫৭ বলে ৮৮ রান করে ম্যাচের সেরাও হন। শুরুতে ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল মেদিনীপুর। ৯ বলে ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বিবেক সিং। তার পরই শুরু হয় প্রিয়াংশুর দাপট। সঙ্গে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ৫৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস জয় নিশ্চিত করে দেয়। এই জয়ের ফলে বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে অফে চলে গেল মেদিনীপুর। হারবার ডায়মন্ডসকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে গিয়েছিল সোবিস্কো স্ম্যামার্স মালদহ। মেদিনীপুরের পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ৯। অন্যদিকে ৭ ম্যাচে কোনও পয়েন্ট না পেয়ে মনোজরা লিগের একেবারে শেষে, কার্যত ছিটকে গেলেন।
ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারদের গালিগালাজের অভিযোগ উঠল মন্ত্রী ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। একটি এলবিডব্লিউ আউট ঘিরে বিতর্ক। এর আগেও একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন মনোজ। এবারও বদল কিছু হল না মনোজের স্বভাবজাত চরিত্রে। ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়রদের দিকে অশ্রাব্য গালিগালাজ ছুঁড়ে দিয়েছেন মনোজ তিওয়ারী, বলে অভিযোগ।