রাজকুমার মণ্ডল
ক্রীড়া সাংবাদিক
যতদিন থাকবেন আরও আরও ভালো কাজ করে যেতে চান ক্রিকেটের জন্য। ক্রিকেট অ্যালোসিয়েশন অব বেঙ্গল সচিব নরেশ ওঝা খুবই উপভোগ করেন সংস্থার হয়ে নিজের ১০০ শতাংশ উজাড় করে দিতে পেরে। একের পর এক মাইলস্টোন টপকেছেন। টানা প্রায় ছয় বছর ধরে কাজ করে চলেছেন বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার হয়ে। সমালোচনা উপেক্ষা করে কাজ করা বেশ ধাতস্থ করে ফেলেছেন। সিএবির সকল কলিগদের সঙ্গে টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্কের মধ্যেও কর্মে অবিচল নরেশ বাবু। ঠিক এক ধাপ উপরের আসনে প্রতিষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট স্নেহাশীষ গাঙ্গুলিকেও আলাদা করে কৃতিত্ব দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না সকলের প্রিয় মানুষ নরেশবাবু। সদাহাস্য সচিব সিএবির সকল ফাইল নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে কুন্ঠাবোধ করেন না। সকল কর্মকর্তাদের ভূমিকার ওভারভিউ এবং নিজে সচিবের ভূমিকায় সংগঠনের সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সদা তৎপর। সংস্থার সামগ্রিক দায়িত্ব ও সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত থাকা সচিবের দায়িত্ব বলেই মনে করেন তিনি। প্রধান কাজ কর্মকর্তাদের ভূমিকা, কার্যবিবরণী গ্রহণ, আলোচ্যসূচি ইত্যাদি। সেক্রেটারির সঠিক কাজের মাধ্যমে সংগঠন থেকে সংগঠনে পরিবর্তিত হবে বলে বিস্বাস তাঁর। সমস্ত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের একমত হওয়াটাও মূল্যবান বলে মনে করেন সচিব নরেশ ওঝা। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ ও সকলের মনের মানুষ হয়ে কাজকে উপভোগ করা বিশেষ পছন্দের।

প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও তাঁর বড় ভাই স্নেহাশিস গাঙ্গুলিকে রাজ্য সংস্থার প্রধান হিসাবে বেশ দারুন কাজের উদাহরণ রেখেছেন সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন বর্তমান সচিব নরেশ ওঝা।সৌরভ গাঙ্গুলী ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিএবি সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং সম্প্রতি বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া অর্থাৎ বিসিসিআই সভাপতি হিসাবে তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন অসাধারন কাজ করে। একইভাবে নরেশবাবু সচিব থাকাকালীন এসেছে একের পর সাফল্য। সিএবি সুপার লিগ। এক মরসুমকে ফাঁকা করে সাদা থেকে লাল বলের দিকে যাওয়া এবং খেলোয়াড়দের ঘরোয়া মরসুমের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া। ২০২৩ বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেনের লাইটগুলিকে উন্নত ডিএমএক্স প্রযুক্তিতে পরিচালিত এলইডিতে আপগ্রেড। নতুন আসন নির্ধারণ। মেরামত ও নতুন ছাউনি নির্মাণ। ক্লাব হাউসকে আপগ্রেড করা। প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কোনও কমিটিতে নিয়োগ। বাংলার প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ সংস্থায় কর্মরত। প্রত্যেকেই কোনও না কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি সাব-কমিটি গঠন। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কমিটিও গঠন। ক্রিকেটারদের কমিটির উপরে দায়িত্ব রয়েছে বাংলা ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে কাজ করার। সবাই মিলে একসঙ্গে বাংলার ক্রিকেটের উন্নতির কাজ করায় বিস্বাসী নরেশ ওঝা।
রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার আর্থিক উন্নতির জন্য নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক ও আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কিছু আসন বরাদ্দ। নতুন মাঠ তৈরির কাজও ডুমুরজলায় হচ্ছে। পরিকাঠামোও উন্নতি করার আরও পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলার ক্রিকেটের সুদিন অব্যহত রাখতে মাঠে নেমে জিততে মরিয়া প্রচেষ্টা বর্তমান সচিব নরেশ ওঝার। সিএবি-র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করে যাওয়াটাই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।