Thursday, May 29, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

ডুরান্ড কাপের নাম বদল?‌ ভারত সরকারের কাছে আবেদন!‌ প্রথমবার পাঁচটি রাজ্যে বসবে এশিয়ার প্রাচীনতম টুর্নামেন্টের আসর, ঘোষিত ডুরান্ডের দিনক্ষণ

“স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও আমরা আমাদের নিপীড়কদের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছি না”। ডুরান্ড কাপ। ভারতের প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট। ইংরেজ রাজত্ব থেকে এই নামে ফুটবল টুর্ণামেন্ট হয়ে আসছে। ১৮৮৮ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ডুরান্ড কাপের নাম পরিবর্তন?‌ কোনও মুক্তিযোদ্ধার নামে অথবা ইন্ডিয়ান আর্মির প্রথম ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশের নামে নামকরণ করা হতে পারে ডুরান্ড কাপ!‌ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সম্প্রতি ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো ঐতিহাসিক সামরিক গ্যারিসন ফোর্ট উইলিয়ামের নাম পরিবর্তন করে বিজয় দুর্গ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। কোনও কিছুর নাম পরিবর্তন করলে গুরুত্ব বাড়ে বই কমে না। মানুষ তার মূল্যবোধকেও সম্মান করে। অনেক দেশেরও নাম পরিবর্তিত হয়েছে। সেইসব দেশ এখনও আগের মতোই পৃথিবীতে বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ হল্যান্ড নাম পরিবর্তিত হয়ে নেদারল্যান্ডস হয়ে গেছে। পারস্য হয়েছে ইরান, বার্মা হয়েছে মায়ানমার, সিয়াম হয়েছে থাইল্যান্ড, সিলন হয়েছে শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ স্টেডিয়াম গুজরাটের মোতেরা স্টেডিয়ামের পরিবর্তিত নাম নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম।

নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইটহুড ফিরিয়ে দেওয়ার পরও লেখার উৎসাহ হারাননি। ২০০ বছরের ব্রিটিশ অত্যাচারের প্রতিবাদে ডুরান্ড কাপের নাম পরিবর্তিত হলে টুর্নামেন্টের উৎসাহ কমবে না বলেই ফুটবলপ্রেমীদের ধারনা। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের কথায় – “What’s in a name ? That which we call a rose by any other name would smell as sweet.” বাংলা করলে দাঁড়ায় -‌নামে কী আসে যায়? আমরা গোলাপকে অন্য যে কোনো নামে ডাকি না কেন গন্ধ একই মিষ্টি হবে। মানুষ ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহী। ডুরান্ড কাপ-এর নাম বদলে যদি বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ এবং বীর সৈন্যদের বীরত্বের উপর প্রাধান্য দিয়ে নামকরণ করা যায় তাহলে আরও বেশী গুরুত্ব পাবে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। কোনও ভারতীয় বিপ্লবীর নাম নতুন প্রজন্মের হৃদয় ও মনে দেশপ্রেমকে উদ্বুদ্ধ করে। সেই নামে গুরুত্ব ডুরান্ড কাপ আরও বেশী গ্রহনযোগ্য হতে পারে বলেই ধারনা ফুটবল বিশেষজ্ঞদের।ব্রিটিশদের জন্ম দেওয়া ফুটবল টুর্ণামেন্টের নাম রাখা হয়েছিল ‘‌ডুরান্ড কাপ’‌। এখন লালন-পালন করছে ভারত। এই ভারত থেকেই লুটতরাজ চালিয়ে যুক্তরাজ্য ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার, কোহিনুর এবং ধনসম্পত্তি যে পরিমান নিয়ে গেছে। এমনকি কোহিনুর রানীর মুকুট অলংকার, চুরি করা জিনিসপত্র গর্বের সাথে নিজেদের দেশে রেখে দিয়েছে। তাহলে ব্রিটিশ শাসনামলের ডুরান্ড কাপের নাম পরিবর্তন করার কথা সহজেই বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংকে ও দুই সহযোগী শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপা নির্ধারিত সময়ের ১১ ঘন্টা আগে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের এরকম ভুরি ভুরি অত্যাচারের কাহিনী কারুর অজানা নয়। ব্রিটিশরা ভারতীয়দের জন্য আলাদা আইন তৈরি করেছিল এবং তাদের নিজস্ব জনগণের জন্যও আলাদা আইন তৈরি করেছিল। পারটার উইলিয়াম সাটক্লিফ ১২ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। হ্যারল্ড শিপম্যান ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ক্ষুদিরাম বোস দুজনকে হত্যা করেছিলেন এবং ১৮ বছর বয়সে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশরা চাইলে তার বয়স কম হওয়ার কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারত। ব্রিটিশরা যদি প্রতারণামূলকভাবে ভারত শাসন না করত, তাহলে ক্ষুদিরাম তাদের কাউকেই হত্যা করত না। ১৯৩৮ সালের ১২ অক্টোবর রাতে নীলকান্তপুর ঘাটে উড়িষ্যায় ১২ বছর বয়সী এক শিশু বাজি রাউত ব্রাহ্মণী নদী পার হতে অস্বীকার করায় ব্রিটিশ পুলিশ হত্যা করে করে নির্বিচারে। জালিয়ানওয়ালাবাগে ৩৭৯ জন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ জেনারেল ডায়ারের। ব্রিটিশরা নীরা আর্য নামে এক মহিলাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছিল এবং সুভাষ চন্দ্র বোসের অবস্থান জানতে তার স্তন কেটেছিল। ব্রিটিশরা ভারতীয় বোন ও কন্যাদের অধিকার প্রকাশ্যে নির্যাতন করেছিল এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পতিতালয় তৈরি করেছিল এবং তাদের নামকরণ করেছিল চাকলা। ব্রিটিশরা ভারতীয় মহিলাদের নির্যাতন ও বর্বরতা করেছিল এবং তাদের যৌন দাসত্বে নিক্ষেপ করেছিল। যুক্তরাজ্যের কোথাও মঙ্গল পান্ডে কাপ, ক্ষুদিরাম বোস কাপ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়? তবে কেন, সরকার ডুরান্ড কাপের নাম পরিবর্তন করতে বিলম্ব করছে? ফুটবলের খেলার মাধ্যমে কোনও ব্রিটিশের নাম জীবিত রাখার চেয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী বা সম্মানিত সেনাপ্রধানের নাম অমর করে রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন দেশের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী।

কে এই ডুরান্ড?‌ মালওয়া স্বাধীনতা যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৮৫৭ থেকে ১৮৫৮ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের সময়, হেনরি মেরিয়ন ডুরান্ড পশ্চিম মালওয়ার একজন সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সিপাহী বিদ্রোহ বা স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ব্রিটিশদের হাতে নিহত হয়েছিল। হেনরি মেরিয়ন ডুরান্ড এই ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন প্রেমী মানুষদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডুরান্ডের নির্দেশে কতজন ভারতীয় নিহত হয়েছিল, তার কোনও রেকর্ড নেই, কারণ প্রত্যেক ব্রিটিশরাই ভারতীয়দের উপর অত্যাচার চালাত নির্বিচারে। ডুরান্ড কাপের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ব্রিটিশ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ম্যারিয়ন ডুরান্ড ও পুত্র হেনরি মর্টিমার ডুরান্ড। ব্রিটিশরা টুর্নামেন্টটি শুরু করেছিল এই ভেবে যে, ভারতে যতদিন সূর্য ও চাঁদ থাকবে ততদিন ইংরেজদের দ্বারাই শাসিত হবে। ১৯৪৭ সালে ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে জানলে, কখনই ডুরান্ড ফুটবল কাপ শুরু করত না। ব্রিটিশরা তাদের ক্লাবের সামনে একটি বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছিল, যাতে লেখা ছিল যে কুকুর বা ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ!‌ অথচ এই ভারতবর্ষেই প্রতি বছর এই ডুরান্ড কাপের মাধ্যমে হেনরি মর্টিমার ডুরান্ডের নাম রমরমিয়ে গর্বের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ ভারতীয়রা ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত। অথচ ২০০ বছরের অত্যাচাররের পরেও ব্রিটিশদের নাম ত্যাগ করতে পারছি না। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর স্বাধীনতা পেয়েছি, তাই এই নতুন ও স্বাধীন ভারতের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান বিশাল। অতীতের কারণেই আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ টিকে আছে। দেশের সৈন্যরা ত্যাগের পথ বেছে নেন এবং মুক্তিযোদ্ধারাও ত্যাগের পথ বেছে নিয়েছিলেন। ‘‌হেনরি মর্টিমার ডুরান্ড কাপ’‌ এর নাম পরিবর্তন করে ‘‌নীরা আর্য কাপ’‌ করা হয়, তাহলে ভারতের জনগণের উপর ব্রিটিশদের দ্বারা পরিচালিত ২০০ বছরের অত্যাচারের মুখে এক বড়সড় থাপ্পড় হতে পারে। ব্রিটিশরা নীরা আর্যের স্তন কেটে তার নারীত্বকে আঘাত করে। ডুরান্ড কাপের নাম পরিবর্তন করে “নীরা” করা হয়, তাহলে দেশের নারীত্ববাদী মনোভাবকে আরও শক্তিশালী করবে, বলে মনে করেন দেশের মহিলা ফুটবলাররাও।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডঃ প্রদীপ চন্দ্রন নায়ার ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সম্মানিত কর্মকর্তা। আসাম রাইফেলসের ২১তম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের ঔপনিবেশিক ঐতিহ্যকে পিছনে ফেলে কাপের নামকরণ করা উচিত এই তিনজন মহান ফুটবলারের নামে। পিকে ব্যানার্জি, চুনী গোস্বামী অথবা তুলসী দাস বলরাম। যাঁরা ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন”। ব্রিগেডিয়ার প্রশান্ত কুমার ঘোষ পূর্ব পাকিস্তানে গোপনে কাজ করেছিলেন দেশের স্বার্থে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ঢাকায় পৌঁছানো প্রথম সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন ছিলেন। পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটারে রাস্তা অবরোধ তৈরি, শত্রু কনভয় আটকানো এবং শত্রুদের নিধন করার একটি অত্যন্ত কঠিন কাজ দেওয়া হয়েছিল। সেরা ভিডিও গেম কনসোল বলেন- ‘‌‘‌আমি ‘‌উপনিবেশীকরণ’‌ প্রকল্পের একজন প্রবল সমর্থক। এটিকে ডুরান্ড কাপ বলা অর্থহীন। ডুরান্ডের বদলে নেতাজি সুভাষ কাপ, উপযুক্ত হবে।’‌’‌ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নৌবহরের প্রাক্তন প্রধান, ভাইস-অ্যাডমিরাল বিমলেন্দু গুহ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তিনি মনে করেন- ‘‌‘‌ফুটবল ব্রিটেন থেকে ভারতে এসেছিল। সৈন্যরা রেজিমেন্টাল টুর্নামেন্ট হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে খেলত। পরবর্তীতে, মোহনবাগান হল প্রথম ভারতীয় ক্লাব যারা ২৯শে জুলাই ১৯১১ সালে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতে ইতিহাস তৈরি করে এবং সমগ্র বিশ্বকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা জানতে বাধ্য করে। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত খালি পায়ে ফুটবল। আমি টেলিমেরিন আও-এর নাম সুপারিশ করছি যিনি ১৯৪৭ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। পরে, মোহনবাগান দলের হয়ে খেলেছেন।’‌’‌ উইং কমান্ডার অলোক সহায় কার্গিল যুদ্ধের একজন প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। তিনি বলেন, “ডুরান্ড কাপের নাম পরিবর্তন করে তাদের নাম রাখা হলে তা কেবল বুদ্ধিমানের কাজই হবে না, বরং আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপযুক্ত সম্মানেরও হবে। একটি নতুন নাম নির্ধারণের জন্য একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। আসুন আমরা নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে নতুন চেতনা জাগাই।” ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমিশন্ড অফিসার মেজর রাকেশ শর্মা, যিনি কার্গিল যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন- “দাবি এবং প্রত্যাশা খুবই যুক্তিসঙ্গত এবং ন্যায্য। আমাদের অনেক গর্বিত এবং নিবেদিতপ্রাণ মুক্তিযোদ্ধা আছেন এবং ডুরান্ড কাপ তাদের যে কোনও একজনের নামে নামকরণ করা উচিত।”

পিএনএস গাজীর শেষ ছবিটি তুলেছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং আইএনএস হানসা/৫৫১ স্কোয়াড্রনে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন “সম্প্রতি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক স্বাধীনতার পর থেকে এই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয়ে আসছে, তাই ডুরান্ড কাপের নাম পরিবর্তন করে কিছু বিশিষ্ট সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নামে রাখার দাবি উঠছে। আমি প্রয়াত ফিল্ড মার্শাল এসএইচএফজে মানেকশ যিনি স্যাম বাহাদুর নামে পরিচিত, তাঁর নাম রাখার পরামর্শ দেব। এটি হবে তাঁর অবদানের জন্য উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি।” কমোডোর এমভি সুরেশ বেশ কয়েকটি সাবমেরিন এবং জাহাজের অধিনায়ক ছিলেন এবং সাবমেরিন অপারেশনের জন্য নাও সেনা পদক পেয়েছিলেন। তাঁর মতে “ আমি সবসময় ভেবেছিলাম যে এটি একজন অসাধারণ ফুটবল খেলোয়াড়ের নামে নামকরণ করা হোক, একজন ব্রিটিশের নামে নামকরণ বদলে। এটা দুঃখজনক যে আমরা ব্রিটিশদের প্রতি এত ঘৃণাশীল, যারা আমাদের রক্ত ​​চুষে নিয়েছে এবং আমাদের সম্পদ লুট করেছে, শত শত ট্রিলিয়ন ডলার। আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। আমাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, আমাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে এবং ৭৭ বছর ধরে আমরা এই ডুরান্ড নাম বদলাতে পারিনি। এখন সময় এসেছে জেগে ওঠার এবং মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর, দাসত্বের চিহ্ন এবং আমাদের ঘৃণ্য মনোভাব দূর করার।”

২০২৫ ডুরান্ড কাপ ফুটবল। কলকাতায় হবে ডুরান্ডের ম্যাচ? ডুরান্ড কাপ কহওয়া নিয়ে এখনও সংশয় ছিল। ২২ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে ১৩৪তম ডুরান্ড কাপের আসর। এই প্রথমবার পাঁচ রাজ্যে আয়োজিত হবে ঐতিহাসিক এই টুর্নামেন্ট। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, অসম, মেঘালয় এবং মণিপুরের ইম্ফলে হবে ম্যাচগুলি। এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৩ আগস্ট। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি গতবারের চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। দু’বছর পর ইম্ফলে বসতে চলেছে টুর্নামেন্টের আসর। কোকরাঝাড় টানা তৃতীয়বারের মতো আয়োজক। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর এবং মেঘালয়ের শিলংকে আয়োজক হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন টুর্নামেন্ট ২০১৯ সালে দিল্লি থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। এরপর ডুরান্ড কাপে দলের সংখ্যা ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সমস্ত দল এতে অংশগ্রহণ করে। এবছর ১৩৪তম ইন্ডিয়ান অয়েল ডুরান্ড কাপ মোট ছ’টি ভেন্যুতে হতে চলেছে। কলকাতায় দু’টি (বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন এবং কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গন), ইম্ফল (খুমান লম্পক স্টেডিয়াম), রাঁচি (মোরহাবাদি স্টেডিয়াম), জামশেদপুর (জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স), শিলং (জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম), কোকরাঝাড় (সাই স্টেডিয়াম)। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টটি উত্তর-পূর্ব ভারতে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল। ফুটবলের প্রচারের লক্ষ্যেই তাদের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন ডুরান্ড কাপের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেও সময়সূচি এখনও ঘোষণা হয়নি। খুব শীঘ্রই তা ঘোষণা করা হবে বলে ফুটবল মহলের ধারণা।

তথ্যসুত্র, এন ই ইন্ডিয়া ব্রডকাস্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles