এবার ‘দাদাগিরি’ অন্য রূপে। অন্য ভাবে ছোট পর্দায় আসছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একসঙ্গে দুই অবতারে ধরা দিতে চলেছেন। আঙ্গিক এবং সঞ্চালনা ও নাম বদলে অন্য চ্যানেলে আসতে চলেছে ‘দাদাগিরি’। মহারাজের দ্বিতীয় রূপ ‘বিগ বস্’-এর সঞ্চালক। শুটিং শুরু করবেন ‘দাদা’। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের কথায়, “শুটিং শুরু হতে হতে আগামী বছর। তার আগে নয়। চ্যানেলই চাইছে নতুন বছরে নতুন কাজ শুরু হোক।” সেপ্টেম্বরে সিএবি-এর নির্বাচনের জন্যই ব্যস্ততা তুঙ্গে। ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কও খুবই ব্যস্ততার সঙ্গে দৌড়োচ্ছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পছন্দ করেন। নতুন কিছু করার আবেদন এলেই স্বাগত জানান। স্টার জলসা নামক নতুন চ্যানেলে, নতুন দুই রিয়্যালিটি শো। ‘দাদাগিরি’ এবং ‘বাংলা বিগ বস্’ মিলিয়ে ১৭ দিন করে এক একটি শো হবে। ৩৪ দিন দুটো শো-তে সময় দেবেন। চার বছরের জন্য ১২৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে সৌরভের সঙ্গে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ‘দাদাগিরি’ও করবেন, ‘বিগ বস্’-ও! অনেক দিন ধরে এ নিয়ে চর্চা চলছিল। প্রথম আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। বললেন, “জি বাংলায় আর দেখা যাবে না আমাকে। এ বার আমি স্টার জলসার। ওখানেই ‘দাদাগিরি’ এবং ‘বিগ বস্’ দুটো রিয়্যালিটি শো-এর সঞ্চালনা করব।” একই চ্যানেলে দুটো শো একসঙ্গে সামলাবেন। প্রথম সঞ্চালকের ভূমিকায় টানা ১০ বছর। ‘দাদা’র কথায়, “‘দাদাগিরি’র ধরন বদলাতে চলেছে। স্টার জলসার চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো অনুষ্ঠান অন্য রকম ভাবে পরিবেশন করতে চান। পাশাপাশি, জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস্’-ও আনতে চান। তার সঞ্চালক হিসাবেও আমাকেই ভেবেছেন। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে খুবই ভাল লাগে। সেই জন্যই রাজি হয়ে গেলাম।” ১৭ দিন করে এক একটি শো হবে। ৩৪ দিন দুটো শো-তে সময় দেবেন। চ্যানেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই মাসে শুরু হবে দুটো অনুষ্ঠান। চার বছরের জন্য ১২৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে সৌরভের সঙ্গে। সঞ্চালনায় “দাদাগিরি’র প্রথম সিজন। দর্শক শো দেখার জন্য উদ্গ্রীব। রেটিং চার্টে রিয়্যালিটি শোএর চাহিদা তুঙ্গে। এবার একই চ্যানেলে একসঙ্গে দু’টি রিয়্যালিটি শো। সৌরভ রেকর্ড গড়ছেন আরও দু’টি বিষয়ে। স্টার জলসা থেকে দু’টি শো-এর জন্য মহারাজার রাজকীয় পারিশ্রমিক। বাংলার বিনোদন দুনিয়ার কোনও খ্যাতনামী আগে পাননি। ৪৮টি বিজ্ঞাপনী বিপণির মুখ! ৫০ পূর্ণ করার পথে। বিনোদন থেকে খেলা। সবদিক থেকেই দেশের সমস্ত তারকার তুলনায় এগিয়ে দাদা। বিজ্ঞাপনী দুনিয়ায় রাজত্ব। কাজের নেশা ও ভাল কাজ করার খিদে প্রবল মহারাজের।
ইংল্যান্ডের টেস্ট সফরে ভারতীয় দল ঘোষিত। শুভমন গিলের নেতৃত্বেই শুরু নয়া গম্ভীর জমানা। রোহিত-কোহলির টেস্ট অবসরের পর অধিনায়কের দায়িত্ব বর্তাল শুভমান গিলের উপর। সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দলে জায়গা পেলেন না মহম্মদ সামি। মুম্বইয়ে বোর্ডের হেড কোয়ার্টারে মিটিংয়ে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে প্রথমেই যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে বাংলার অভিমন্যু অখবা সাই সুদর্শন। তিন নম্বরে শুভমান গিল। চতুর্থ স্থানে কেএল রাহুল। তারপর ঋষভ পন্থ। শুভমান ওপেনিংয়ে গিয়ে সুদর্শনকেও চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানে খেলতে পারেন। এরপর নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা। স্পিনের কাজটিও সামলে দেবেন। পিচ বুঝে ঢুকতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর বা করুণ নায়ার। সাত বছর পর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন। ইংল্যান্ডের পিচে তিন পেসারেই যেতে পারেন গম্ভীর। সেক্ষেত্রে সিরাজ, বুমরাহর পাপাপাশি পেসারদের ‘ওয়ার্কলোড’ বা ফর্ম বুঝে ঢুকতে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ। ২০ জুন থেকে শুরু ভারতের পাঁচ টেস্টের সফর। প্রথম টেস্ট লিডসে। ২ জুলাই থেকে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট। লর্ডসে তৃতীয় টেস্ট হবে ১০ জুলাই থেকে। ২৩ জুলাই থেকে চতুর্থ টেস্ট ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। শেষ টেস্ট ৩১ জুলাই থেকে, ওভালে। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি টেস্টও খেলবে টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডে অগ্নিপরীক্ষা।

ঘরোয়া ক্রিকেট করুণের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী থেকেছে। রনজিতে দল বদলে এসে বিদর্ভকে রনজি চ্যাম্পিয়নও করেছেন। ফাইনালে করুণ করেছিলেন ৮৬ রান। বিজয় হাজারে ট্রফিতে নয়া নজির গড়েছেন ৩৩ বছরের করুণ। ৬টি ম্যাচে তাঁর পরিসংখ্যান- ১১২, ৪৪, ১৬৩, ১১১, ১১২, ১২২। অপরাজিত থাকায় গড় ৬৬৪! স্বয়ং শচীন তেণ্ডুলকর করুণের প্রশংসা করেছিলেন। শেষ টেস্টটি খেলেছিলেন ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ৮ বছর ২ মাস, মানে প্রায় ৩০০০ দিন পর ফের জাতীয় দলে ডাক পেলেন করুণ। ২০১৬ সালে এক ইনিংসে করেছিলেন ৩০৩ রান ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে টেস্টে ৩০০ রানের ইনিংস খেলে তারপরও বাদ পড়তে হয়েছে। মহম্মদ সামিকে নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিলই। এবার সিলমোহর পড়ল। মুম্বইয়ে বোর্ডের হেড কোয়ার্টারে মিটিংয়ের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। জায়গা পেলেন না বাংলার পেসার মহম্মদ সামি। প্রশ্ন চিহ্ন টেস্ট কেরিয়ারও। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে একবছরের বেশি সময় খেলতে পারেননি সামি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল। এখন আইপিএলেও খেলছেন। ইংল্যান্ড সিরিজে জায়গা পেলেন না। কারণ হিসেবে যুক্তি, টেস্ট ক্রিকেটে খেলার মতো পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারেননি। নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর বলেন, “পুরোপুরি সেরে ওঠেনি সামি। আমরা ভেবেছিলাম ওকে পাব। যদিও সেটা হচ্ছে না। অসাধারণ ক্রিকেটার ও। চাইব, দ্রুত সেরে উঠুক সামি।” বোর্ডের চিকিৎসকরা সামিকে টেস্ট খেলার জন্য সবুজ সংকেত দেননি। আইপিএলে ৯টি ম্যাচ খেলেছেন সামি। বোর্ডের একাংশ আবার মনে করছে, পুরো ১০ ওভার বোলিং করার মতো অবস্থাতে না থাকার কারণে শামিকে ছাড়াই ইংল্যান্ডে যাবে দল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সামি যদি পুরোপুরি ফিটই না হন, তাহলে তাঁকে আইপিএলে এতগুলো ম্যাচ খেলার ছাড়পত্রই বা দেওয়া হল কেন? আইপিএল না খেলে যদি ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতেন, তাহলে আখেরে লাভ হত ভারতীয় দলের জন্যই। বয়স ৩৪। ভবিষ্যতে ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পাবেন? প্রশ্নচিহ্ন! একইভাবে বাংলার আরও এক ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকই হয়নি বাংলার হয়ে খেলা ব্যাটারের। কিন্তু হাল ছাড়েননি। রনজিতে রান করেছেন। ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ‘এ’ দলে। ইংল্যান্ড সফরের ভারতের ‘এ’ দলের অধিনায়কও হয়েছেন। এবার জাতীয় দলেও ডাক পেলেন ২৯ বছর বয়সি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে পা গলাতে হবে রোহিত শর্মার জুতোতে। কঠিন পরীক্ষা।
ইংল্যান্ড বনাম ভারতের ২০২৫ টেস্ট সিরিজে রোহিত শর্মার উত্তরসূরি হিসেবে শুভমন গিলকে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন অজিত আগরকর। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ২৪ মে একটি প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর আনুষ্ঠানিকভাবে শুভমন গিলকে ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন। রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন, যার ফলে নির্বাচক কমিটির সামনে নতুন অধিনায়ক বাছাই করার বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এর আগে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবকে ভারতের স্থায়ী টি২০ অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতীয় দল তিনটি ফরম্যাটে তিনজন ভিন্ন অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলবে। রোহিত শর্মা ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন, আর শুভমন গিল টেস্টে এবং সূর্যকুমার যাদব টি২০তে অধিনায়কত্ব সামলাবেন।
বিদেশের মাটিতে শুভমন গিলের টেস্ট রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন? ৩২টি টেস্টে মোট ১৮৯৩ রান থাকলেও, এশিয়ার বাইরে শুভমন গিলের পারফরম্যান্স খুব একটা সন্তোষজনক নয়। SENA দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৩টি ম্যাচে ৫৫৯ রান, গড় ২৫, দুটি অর্ধশতরান। ২০২১ সালে গাব্বা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর থেকে বিদেশের মাটিতে সেই ফর্ম আর ফিরে পাননি গিল। নির্বাচকরা তার মানসিক দৃঢ়তা ও নেতৃত্বগুণে আস্থা রাখছেন। গিল ইতিমধ্যে ভারতের হয়ে ২০২৪ সালে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে অধিনায়কত্ব করেছেন এবং আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গিলের এমন পারফরমেন্স দেখেই ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৫ বছর বয়সি শুভমন গিল-কে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করেছে বিসিসিআই। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম কনিষ্ঠ টেস্ট অধিনায়ক হয়ে উঠলেন। দীর্ঘ চোটের পর দলে ফিরে ঋষভ পন্ত সহ-অধিনায়ক ও প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষকের দায়িত্বে।
বুমরাহ, পন্ত, রাহুলদের অধিনায়কের পদে উপেক্ষিত করা হয় ও অধিনায়ক হিসেবে গিলকে বেছে নেয় গম্ভীর-আগরকররা। জসপ্রিত বুমরাহ, ঋষভ পন্ত ও কে এল রাহুলদের টপকে কেন গিল এগিয়ে গেলেন? বুমরাহ অতীতে টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন বটে, তবে তার ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ থাকায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রাখা হয়নি। পন্ত বিদেশের মাটিতে দুর্দান্ত পারফরমার হলেও নেতৃত্বের সহায়ক ভূমিকাতেই তাকে বেশি উপযুক্ত বলে মনে করছেন নির্বাচকরা। রাহুল অভিজ্ঞ হলেও অধিনায়কত্বের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন।
শুভমন গিলের টেস্ট রেকর্ড (এশিয়ার বাইরে):
ইনিংস: ২৪, রান: ৫৫৯, গড়: ২৫.৪ শতরান: ০, অর্ধশতরান: ২, স্মরণীয় ইনিংস: ৯১ রান বনাম অস্ট্রেলিয়া, গাব্বা (২০২১)
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে গিলের জন্য অনেক কিছু প্রমাণ করার রয়েছে। গতবার ইংল্যান্ড সফরে গিল সুযোগ পেয়েছিলেন একটি মাত্র ম্যাচে এবং দুই ইনিংসে করেছিলেন ১৭ ও ৪ রান। এবারের সিরিজে তার নেতৃত্বের পাশাপাশি ব্যাট হাতে বড় কিছু করে দেখানোই হবে তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি দু’জনেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, যা দলে বড় নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে গিলের নেতৃত্বে ভারত এক নতুন পথে এগোতে চলেছে। ইংল্যান্ড সফরেই প্রমাণ করতে হবে গিলকে—তিনি শুধু ভবিষ্যতের নয়, বর্তমানেরও অধিনায়ক। গিলকে প্রমাণ করতে হবে যে অজিত আগরকররা কোনও ভুল করেননি। শুভমন গিল টেস্ট অধিনায়ক। অজিত আগরকর বলেন, ‘আমরা প্রতিটি সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। গত এক বছরে বিভিন্ন সময় শুভমনকে আমরা নেতৃত্বে দেখেছি। ড্রেসিংরুম থেকে প্রচুর ফিডব্যাকও নিয়েছি। ও এখনও তরুণ, তবে ওর মধ্যে উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। আমরা আশা করছি ও-ই সঠিক ব্যক্তি। ও একজন অসাধারণ ব্যাটসম্যান। ওর জন্য শুভকামনা রইল। একটা বা দুটো সফরের জন্য অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়নি। গত এক-দুই বছরে ওর মধ্যে যে অগ্রগতি দেখেছি, তাতে আমরা আশাবাদী। নিঃসন্দেহে ওর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে।’ ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করলেন অজিত আগরকর।
ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াড:
শুভমন গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্ত (সহ-অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), যশস্বী জসওয়াল, কেএল রাহুল, অভিমন্যু ঈশ্বরন, সাই সুদর্শন, করুণ নায়ার, নীতীশ কুমার রেড্ডি, রবীন্দ্র জাডেজা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আকাশ দীপ, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব