আপাতত এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হতে চলেছে আইপিএল? বৃহস্পতিতে জরুরিকালীন বৈঠক আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। সূত্রের খবর, সেখানেই টুর্নামেন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত। চরমে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শুক্রবারই সরকারি ভাবে টুর্নামেন্ট বাতিলের কথা ঘোষনা। ধরমশালায় মুখোমুখি দিল্লি ক্যাপিটালস এবং পাঞ্জাব কিংস ম্যাচে লাগাতার পাকিস্তানের হামলার জেরে ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয় ধরমশালা। একে একে নিভে যায় স্টেডিয়ামের আলো। এরপরই ম্যাচ বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। দর্শক এবং আইপিএল কর্মকর্তাদের স্টেডিয়াম থেকে দ্রুত ফিরে যেতে বলা হয়। টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে জরুরি বৈঠকে বসে গভর্নিং কাউন্সিল। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ত্রস্ত বিদেশি তারকারা। পাঞ্জাব কিংসের দুই ক্রিকেটার মার্কাস স্টয়নিস এবং জস ইংলিশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাও জানান। যুদ্ধের আবহে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারতীয় বোর্ড। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার খাতিরে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা এ কথা ঘোষণা করেন যে, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্টের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত। বিসিসিআই আমাদের সেনাবাহিনী এবং সরকারের পাশেই রয়েছে।” এখনও আইপিএলে বাকি ১২টি লিগ পর্যায়ের ম্যাচ, চারটি প্লে অফ ম্যাচ-সহ ফাইনাল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি বাকি ম্যাচগুলি কবে হবে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সম্ভাব্য সময়সূচিও। বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে আইপিএল আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বোর্ড এবং আইপিএলের তরফে সরকারি ঘোষণা করা হয় শুক্রবার দুপুর ২.৪৭ মিনিটে।

তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত। স্থগিত আইপিএল। আইপিএলের ম্যাচ বাতিল। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক সিদ্ধান্ত আইপিএল আপাতত স্থগিত। ভারতে লোকসভা নির্বাচন কিংবা করোনার সময়েও আইপিএল বন্ধ হয়নি। নির্বাচনের কারণে ২০০৯ সালে আইপিএল হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। করোনার সময় ২০২০ সালে আইপিএল সরানো হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২০২১ সালে মুম্বইয়ের বিভিন্ন মাঠে আইপিএলের একটি পর্বের পর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আমিরশাহিতে। ভারত-পাক সংঘাতে স্থগিত আইপিএল। এই বছরই সেপ্টেম্বরে বাকি প্রতিযোগিতা হতে পারে। আগস্টের শেষ দিকে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ ছিল। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়া নিয়েও সন্দেহ। বোর্ড সেই সময়টা আইপিএল আয়োজন করার জন্য কাজে লাগাতে পারে। বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলির বোর্ডের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। সব দেশের ক্রিকেটসূচি দেখে সিদ্ধান্ত। আপাতত আইপিএল স্থগিত। ভারত-পাক সংঘর্ষে আইপিএলের মতো বিনোদন এই মুহূর্তে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। আইপিএলে এখনও লিগ পর্বে ১২টি ম্যাচ বাকি। পাঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচটি বাতিল হলেও তার পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়া হয়নি। বোর্ড যদি পরে আইপিএল আবার আয়োজন করে, তা হলে এই ম্যাচটিও হতে পারে। প্লে-অফের চারটি ম্যাচ রয়েছে। কলকাতায় কোয়ালিফায়ার ২ এবং ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল।

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। নিরাপত্তা নিয়েও গভীর উদ্বেগ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ধরমশালায় মাঝপথে বন্ধ পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের আইপিএল ম্যাচ। জম্মুতে পাকিস্তানের হামলা। পাঠানকোটের ১০০ কিলোমিটারের কম দূরে অবস্থিত ধরমশালা। বিসিসিআই টুর্নামেন্টের ভাগ্য নিয়ে জরুরি আলোচনা। স্টেডিয়ামের ৮০% দর্শক ভর্তি থাকা দর্শকদের নিরাপত্তার কারণে সরানো হয়। ভেন্যু থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভক্তদের পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান। বিসিসিআই, আইপিএলের পরিচালনা পর্ষদের সাথে, দ্রুত বিকশিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল জানান, লিগ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। ধুমাল সতর্ক করেন, স্টেকহোল্ডারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত। ভারত-পাক সংঘাতের জেরে বন্ধ ২৮টি বিমানবন্দর। আইপিএল বাতিল হলেও ক্রিকেটারদের বাড়ি ফেরানো বোর্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সাপোর্ট স্টাফ এবং ক্রিকেটারদের সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ। টুর্নামেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত।

নাজেহাল পাকিস্তান! ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান বিপর্যস্ত। আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ ইসলামাবাদ। দাবি, চাই ঋণ। আর্জি, শান্তি ফেরাতে সাহায্য। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফের দ্বারস্থ পাকিস্তান। শনিবারই বৈঠক ইসলামাবাদের। পাক অর্থমন্ত্রকের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট, আন্তর্জাতিক সঙ্গীদের থেকে আরও ঋণ চাইছে পাকিস্তান। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে দাবি, দাবি ভুয়ো। আসলে হ্যাক করা হয়েছে ওই ওয়েবসাইট। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। চাইছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থেই দেশের মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা। ভারত আইএমএফকে লাগাতার চাপ,যেন প্রতিবেশী দেশকে আর অর্থসাহায্য না করা হয়। অন্যথায় সেই অর্থে পরোক্ষে হাত মজবুত হবে আইএসআই এবং লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির। ভারতের চাপে আইএমএফ পাকিস্তানকে আদৌ ঋণ দিতে অরাজি!
জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানি জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ। চেষ্টা রুখে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সাত জঙ্গি নিহত। ধ্বংস পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীদের ঘাঁটিও। বিএসএফের দেওয়া ভিডিয়োটিতে স্পষ্ট, ঘন জঙ্গলের ছবি। নিস্তব্ধতার মধ্যে একের পর এক গুলি চলেছে। ৮ এবং ৯ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে সাম্বা সেক্টর দিয়ে জঙ্গিদের একটি বড় দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে তা ধরা পড়ে যায়। পাকিস্তানি রেঞ্জার্স ঘাঁটি থেকে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে সাহায্য করা হচ্ছিল। অনবরত সেখান থেকে গুলি চালানো হচ্ছিল, যাতে ওই জঙ্গিরা উল্টো দিক থেকে কোনও বাধার সম্মুখীন না হয়। পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের ধনধর পোস্টটিও বিএসএফের প্রত্যাঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি।
রাতের অন্ধকার। পাকিস্তানের দিক থেকে ধেয়ে আসতে শুরু করে একাধিক ড্রোন। কালো আকাশে বিন্দু বিন্দু আলো আতঙ্কিত করে তুলেছিল জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষজনকে। শঙ্কা দূর করে দেয় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। অনায়াসে পাকিস্তানের হামলা প্রতিহত। পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের সামরিক পরিকাঠামোতেও আঘাত হানার চেষ্টা। হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের সেনা। পাল্টা কড়া জবাবভারতীয় সেনাবাহিনীর। পাকিস্তান ব্যর্থ। অথচ দমে যাওয়ার নাম গন্ধ নেই। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি অব্যাহত। নানা জায়গায় গোলাগুলি চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনা। বারামুলা জেলার উরিতে পাকিস্তানের ছোড়া গোলার আঘাতে মৃত্যু এক মহিলার। আহতও একাধিক। জম্মুর সীমান্তবর্তী অঞ্চল দেখতে গিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। একটি গাড়িতেই আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের ছোড়া শেল। গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। বারমুলায় হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উরির কাছে রামপুরে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ জারি। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়,, পশ্চিম সীমান্ত বরাবর নানা জায়গায় রাতভর ড্রোন হামলা চালাতে চেষ্টা করে পাকিস্তান। বারবার ব্যর্থ। পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৫০টি পাক ড্রোনকে গুলি করে নামায়। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ি। আহত বহু সাধারণ নাগরিক। সাম্বার আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে বিএসএফ। স্কুলগুলিকে নিশানা করে গোলাবর্ষণে রত পাকিস্তান। স্কুলগুলিতেই উত্তর কাশ্মীরের গ্রামগুলি খালি করে বাসিন্দাদের রাখা হয়েছে। পাকিস্তান নিশানা করছে সাধারণ নাগরিকদের। কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহোর, শিয়ালকোটে কড়া জবাব ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তিনটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী।