Saturday, May 24, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

কলকাতায় প্রস্তুতি সারবে ভারতীয় ফুটবল দল?‌ নেই ইরফান ইয়াদওয়াদ!‌ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্য ঘোষিত ২৮ সদস্যের সম্ভাব্য দল

কলকাতায় প্রস্তুতি শিবির? ফরোয়ার্ড ইরফান ইয়াদওয়াদ অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের কারণে জাতীয় দলের শিবিরে থাকছেন না।  পরিবর্তে জাতীয় শিবিরে ডাক পেলেন এডমুন্ড লালরিনডিকা। এডমুন্ড ইন্টার কাশীর হয়ে আই লিগে ভালো খেলেছেন। লিগে চারটি গোলের সঙ্গে পাঁচটি অ্যাসিস্টও রয়েছে, ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি ভারতীয় ফুটবল দল। পাথুম স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচে ৪ জুন খেলবে ভারত। কলকাতায় ভারতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরের জন্য ২৮ জনের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করেন ভারতীয় দলের কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। শিবিরে সুযোগ পেয়েছেন বিশাল কাইথ, শুভাশিস বোস, সুহেল ভাটের মতো তারকারা। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ ভারতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জম্মু-কাশ্মীরের তারকা সুহেল প্রথমবার ভারতীয় শিবিরে ডাক পেলেন। ভারতীয় ক্যাম্পে সুনীল ছেত্রী, মনবীর সিং, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেদেরও দেখা যাবে। থাইল্যান্ড ম্যাচটিকে হংকং ম্যাচের প্রস্তুতি। ভারতীয় শিবিরের ১৮ মে কলকাতায় প্রস্তুতি শিবির শুরু। ১১ দিনের প্রস্তুতি সেরে ২৯ মে থাইল্যান্ড উড়ে যাবে ‘ব্লু টাইগার্স‌’। ফরোয়ার্ড ইরফান ইয়াদওয়াদ অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের কারণে জাতীয় দলের শিবিরে থাকছেন না। এশিয়ান কাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে হংকংয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে দলের শক্তি দুর্বলতা যাচাই ভারতীয় কোচ মানোলো মার্কুয়েজের। ভারত এবং থাইল্যান্ড একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ২৬ বার। ভারত জয়ী সাতটিতে। ১২ বার জয়ী ‘চ্যাংসুয়েক’। সাত ম্যাচ ড্র। ভারত শেষ দু’টি ম্যাচে জিতেছে। দু’টি ম্যাচই হয়েছিল ২০১৯ সালে। আবু ধাবিতে এএফসি এশিয়ান কাপে ৪-১ গোলে থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। বুড়িরামে ১-০ গোলে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে কিংস কাপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিল ভারত। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত রয়েছে ১২৭তম স্থানে। থাইল্যান্ডের র‌্যাঙ্ক ৯৯। এশিয়ান কাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপ সি’তে ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ, হংকং এবং সিঙ্গাপুর।

অবসর থেকে ফিরে আসা সুনীল ছেত্রী রয়েছেন ম্যানোলো মার্কুয়েজের ২৮ জনের স্কোয়াডে, সম্ভাব্য স্কোয়াডে বাগানের তরুণ স্ট্রাইকার সুহেল ভাট। সদ্য সমাপ্ত সুপার কাপে মোহনবাগানের জার্সিতে দুরন্ত তরুণ ফুটবলার। মোহনবাগানের জার্সিতে কেরল ব্লাস্টার্স এবং এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে গোল ছিল এই ফুটবলারের। দুই প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্সেই বিদেশি ফুটবলাররা ছিলেন। পিছন থেকে এসেই ছোঁ মেরে বল ধরে তা জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন সুহেল, সেই সুবাদেই তাঁকে জাতীয় দলের শিবিরে ডাকা হল। বেশ কয়েক বছর মোহনবাগানের হয়ে কলকাতা লিগসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় মাঠে নামছেন। শিকে ছিঁড়ল না আইএসএল কাপের ফাইনালে পায়ের তলা দিয়ে গোল হজম করা গুরপ্রিত সিং সান্ধুর। জাতীয় দলের ক্যাম্পে আর ডাকা হল না। গতবার বিশাল কাইথকে দলে রাখার পরই সোশাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েই এক রহস্যজনক পোস্ট করেছিলেন গুরপ্রিত, কিন্তু ম্যানোলো যে তাঁর খেলায় মোটেই খুশি ছিলেন না। বিশাল কাইথ জায়গা পেয়েছেন এই তালিকায়। ১৮ মে থেকে কলকাতায় শুরু হওয়ার কথা ভারতীয় দলের শিবির। থাইল্যান্ডের সঙ্গে ভারতীয় দল প্রীতি ম্যাচ খেলার পর এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনপর্বে তাঁরা মাঠে নামবে হংকংয়ের। এই গ্রুপে ভারত ছাড়াও রয়েছে হংকং, বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর। চার দলেরই আপাতত পয়েন্ট ১। এই গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা দলই সুযোগ পাবে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলার।

প্রস্তুতি শিবিরের জন্য ২৮ সদস্যের দল:
গোলরক্ষক: ঋত্বিক তিওয়ারি, বিশাল কাইথ, গুরমিত সিং, অমরিন্দর সিং।
ডিফেন্ডার: নাওরেম রোশন সিং, রাহুল ভেকে, চিংলেনসানা সিং, আনোয়ার আলি, বরিস সিং, সন্দেশ ঝিঙ্গান, আশিস রাই, শুভাশিস বোস, মেহতাব সিং, অভিষেক সিং, নিখিল প্রভু।
মিডফিল্ডার: সুরেশ সিং ওয়াংজাম, নাওরেম মহেশ সিং, আয়ুষ ছেত্রী, উদান্ত সিং, লালেংমাউয়া রালতে, লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ান, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ।
ফরোয়ার্ড: সুনীল ছেত্রী, এডমুন্ড লালরিনডিকা, মনবীর সিং, সুহেল আহমেদ ভাট, ছাংতে।
কোচ: মানোলো মার্কুয়েজ।

জুন-জুলাইয়ে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ রয়েছে জাতীয় মহিলা দলেরও। তার আগে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে জোড়া প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ক্রিসপিন ছেত্রীর মেয়েরা। আগামী ৩০ মে এবং ৩ জুন ম্যাচ দু’টি হবে বেঙ্গালুরুতে। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের গ্রুপ ‘বি’-তে ভারত খেলবে মঙ্গোলিয়া (২৩ জুন), টিমোর-লিসে (২৯ জুন), ইরাক (২ জুলাই) এবং থাইল্যান্ডের (৫ জুলাই) বিরুদ্ধে। ম্যাচগুলি হবে থাইল্যান্ডের চিয়াং মেই শহরে। ১ মে থেকে জাতীয় মহিলা দলের শিবির বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়ে গিয়েছে।

বন্ধ হতে চলেছে সুপার কাপ! ফেডরেশন কাপ ফিরছে?‌ ভারতীয় ফুটবল মানচিত্রে ব্যাপক বদলের সম্ভাবনা। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল সুপার কাপ। সাত বছর হতে না হতেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে টুর্নামেন্ট। সুপার কাপের জায়গায় ফেরানো পথে ফেডারেশন কাপ। ১৯৭৭ সালে শুরু হওয়া বার্ষিক এই নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০১৭ সালে বন্ধ করে এআইএফএফ শুরু করেছিল সুপার কাপ। জনপ্রিয়তা এই ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে না থাকাক কারণেই সুপার কাপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে এবছর দর্শক টানতে একেবারেই ব্যর্থ সুপার কাপ। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন দলের অর্থ ২৫ লক্ষ টাকা। আইএসএল লিগ-শিল্ড ও কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার কাপে প্রথম দল নামায়নি। মাত্র একজন বিদেশিকে সবুজ-মেরুন বাহিনী মাঠে নামিয়েছিল। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে দিয়েছিলেন বাস্তব রায়ের ছেলেরা। সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার কাছে হার মোহনবাগানের। চার্চিল ব্রাদার্স সুপার কাপ থেকে দল তুলে নিয়েছিল। সুপার কাপের সময় অনেক ফুটবলারই জাতীয় শিবিরে চলে যাওয়ায় নিজেদের দলের জাতীয় ফুটবলারের সার্ভিস অনেক দলই পায়নি। প্রতিবাদস্বরূপ দল তুলে নেয় চার্চিল। ফেডারেশন কাপ ফিরিয়ে আনা হলে ভারতীয় ফুটবল মানচিত্রে বড়সড় বদল। মরশুম শুরু হবে ফেড কাপ দিয়ে। ডুরান্ড কাপ চলে যাবে মরশুম শেষের দিকে।

নজরকাড়া পারফরমেন্স! ভারতীয় দলের কোচের প্রস্তাব খালিদ জামিলকে। অনূর্ধ্ব ২৩ দলের দায়িত্বে জামিল। জামশেদপুর এফসিকে আইএসএলের সেমিফাইনালে তুলেছিলেন কোচ খালিদ জামিল। হেরে গেলেও লড়াইয়ে কোথাও মনে হয়নি কম টাকার দল নিয়ে খেলেছেন। ইস্টবেঙ্গলের বাতিল বিদেশি সিভেরিও, এটিকের বাতিল বিদেশি জাভিদের নিয়েই খালিদ জামিল লড়ে গেছিলেন এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। কলিঙ্গ সুপার কাপেও ফাইনাল পর্যন্ত দলকে তুলেছিলেন জামশেদপুরের হেড কোচ। প্রথমবার সুপার কাপের ফাইনালে ওঠে ইস্পাত শহরের দল। ফাইনালে মানোলো মার্কুয়েজে এফসি গোয়ার কাছে ৩ গোলে ম্যাচ হারলেও গোটা প্রতিযোগিতা জুড়েই জামশেদপুর ফুটবলারদের অসম্ভব লড়াকু মানসিকতার প্রমাণ। দুই প্রধানে কোচিং করিয়ে যাওয়া খালিদ জামিলের ওপরই জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে এআইএফএফ। এশিয়ান গেমসের আগেই ভারতীয় অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবল দলেরই হেড কোচ হওয়ার প্রস্তাব খালিদের কাছে। নাগোয়ায় আসন্ন এশিয়ান গেমসের কথা মাথায় রেখে ফেডারেশন চাইছে খালিদকে দায়িত্ব দিতে। সেপ্টেম্বরে রয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ার, তাঁর আগেই জামশেদপুর এফসির কোচের হাতে ভারতীয় অনূর্ধ্ব ২৩ দলের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে এআইএফএফ। আইএসএলের লিগ স্টেজ জামশেদপুর শেষ করেছিল পঞ্চম স্থানে। বহুদিন পর তাঁরা অর্জন করেছে। এআইএফএফ চাইছে একটু হাতে সময় নিয়েই অনুশীলন শুরু করিয়ে দিতে অনূর্ধ্ব ২৩ দলের, তাই খালিদের সঙ্গে দ্রুত চুক্তিতে বিশ্বাসী। জামশেদপুর এফসির সিইও মুকুল চৌধুরী জানান, ‘ এআইএফএফ ইতিমধ্যেই আমাদের সঙ্গে এবং খালিদ জামিলের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছে। কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা পুরোটাই খালিদের ওপর। আমাদের সঙ্গে অনবদ্য সময় কাটিয়েছে খালিদ’। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার খালিদ জামিল এআইএফএফের বিচারে সেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন। খালিদ জামিল যদি ফেডারেশনের প্রস্তাব গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে তাঁকে ফেডারেশনও জামশেদপুর এফসিতে কোচিং চালিয়ে যাওয়ার ছাড় দেবে। খালিদ জাতীয় অনূর্ধ্ব ২৩ দলের পাশাপাশি জামশেদপুর এফসিরও কোচিং করানোর বিষয়ে ছাড়পত্র পেতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles